
সারা দেশে সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনতে যৌথ বাহিনীর সমন্বয়ে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেয়ার পরও দেশের বিভিন্ন এলাকায় অপরাধীদের বহুমাত্রিক তৎপরতার খবর মিলছে। প্রকাশ্যে কুপিয়ে জখম, ডাকাতি, নারীর শ্লীলতাহানি দিন দিন বেড়েই চলেছে।
বৃহস্পিতবার ভোর রাত ৪টা ২০ মিনিট। সিসি ফুটেজে দেখা গেল দামি প্রাইভেট কার নিয়ে তিন ব্যক্তি এক এক করে নেমে আসেন। এরপর দোকানে তালা কাটা শুরু করেন। তালা কাটা শেষে দোকানের সামনে থেকে চলে যান।
তবে কয়েক মিনিট পর আবার একই গাড়িতে ওই দোকানের সামনে আসেন তারা। এরপর সাটার খুলে ক্যাশ বাক্স, সিগারেটের প্যাকেটসহ একে একে অনেক মালপত্র বের করে প্রাইভেটকারে তোলেন। একই কৌশলে কাছাকাছি তিনটি দোকানে ডাকাতি করেছে একই চক্র। ভোর ৫টা পর্যন্ত চলে চক্রের অভিযান। এছাড়া ওই এলাকার আরো দুটি বাসায় একই সময় ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।
শুধু মিরপুর নয়, প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন এলাকায় অপরাধীদের বহুমাত্রিক তৎপরতার খবর মিলছে। জড়িতরা এতটা বেপরোয়া যে প্রকাশ্যে কুপিয়ে জখম করছে। কিছুই তোয়াক্কা করছে না। আবার দিনদুপুরে বাসে উঠে যাত্রীদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, মানিব্যাগ, টাকা কেড়ে নিচ্ছে। চলন্ত বাসে অস্ত্র দেখিয়ে করছে নারীর শ্লীলতাহানিও।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চলমান ‘ডেভিল হান্টের’ মধ্যেই বেপরোয়া অপরাধীরা। শুক্রবার রাতে ঝিনাইদহের শৈলকুপায় তিনজনকে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যার পর দায় স্বীকার করেছে চরমপন্থি সংগঠন। বিভিন্ন অঞ্চলে এ ধরনের তৎপরতা মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে কিনা, আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
অপরাধ বিশ্লেষক ড. তৌহিদুল হক বলেন, অপারেশন ডেভিল হান্টের মধ্যেও বহুমাত্রিক অপরাধ দেখছি। অভিযান সামগ্রিকভাবে না হলে কাঙ্ক্ষিত ফল আসবে না। রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট গুরুত্ব না দিয়ে যারা অপরাধে জড়াবে, তাদেরই আইনের আওতায় আনতে হবে।