মহাকাশে নিয়ন্ত্রণ হারাল স্পেসএক্সের রকেট, আকাশে ছড়িয়ে পড়ল ধ্বংসাবশেষ
মোহনা অনলাইন
বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনকুবের ইলন মাস্কের মহাকাশভিত্তিক কোম্পানি স্পেসএক্স তাদের স্টারশিপ প্রকল্পের নবম পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণেও ব্যর্থ হয়েছে। উৎক্ষেপণের মাত্র ৩০ মিনিট পরেই রকেটটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মহাকাশে ছিটকে পড়ে এবং একপর্যায়ে বিস্ফোরিত হয়ে আকাশে ছড়িয়ে পড়ে ধ্বংসাবশেষ। বুধবার (২৮ মে) এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা, সূত্র হিসেবে উল্লেখ করেছে রয়টার্স।
স্পেসএক্স-এর দেওয়া বিবৃতিতে জানানো হয়, উৎক্ষেপণের কিছুক্ষণ পর রকেটটিতে জ্বালানির লিক হওয়ায় এটি ঘূর্ণায়মান হয়ে পড়ে এবং নির্ধারিত সময়ের আগেই পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে। এতে করে রকেটটি “র্যাপিড আনস্কেডিউলড ডিসঅ্যাসেম্বলি” বা দ্রুত ও অনির্ধারিতভাবে ছিন্নবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে—অর্থাৎ বিস্ফোরিত হয়।
স্পেসএক্সের ভাষায়, “এই ধরনের পরীক্ষায় সাফল্য আসে শেখা থেকে। আজকের অভিজ্ঞতা ভবিষ্যতে স্টারশিপের নিরাপত্তা ও নির্ভরযোগ্যতা বাড়াতে সাহায্য করবে।”
১২৩ মিটার বা ৪০৩ ফুট উচ্চতার বিশাল রকেটটি অতীতের উৎক্ষেপণগুলোর তুলনায় এবার আরও অনেকদূর অগ্রসর হয়েছিল। তবে শেষরক্ষা হয়নি। এর আগে ২০২৫ সালের ৬ মার্চ আরেকটি স্টারশিপ রকেটও উৎক্ষেপণের কিছুক্ষণের মধ্যেই বিস্ফোরিত হয়েছিল।
উল্লেখ্য, মঙ্গল গ্রহে মানুষের বসতি গড়ার লক্ষ্যে স্পেসএক্স যে স্টারশিপ প্রকল্প চালু করেছে, সেখানে এরই মধ্যে বিলিয়ন ডলারের বেশি বিনিয়োগ করেছেন ইলন মাস্ক। পাশাপাশি, নাসার সঙ্গে যৌথভাবে ৫০ বছরের বেশি সময় পর ফের চাঁদে মানুষ পাঠানোর মিশনেও কাজ করছে কোম্পানিটি।
তবে এ ধরনের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ দক্ষিণ যুক্তরাষ্ট্র ও ক্যারিবীয় অঞ্চলে একাধিকবার ধ্বংসাবশেষ ছড়িয়ে দিয়েছে, যার ফলে মার্কিন ফেডারেল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (FAA) সম্প্রতি কয়েকটি বিমানবন্দরে অস্থায়ীভাবে ফ্লাইট বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়—এর মধ্যে ছিল মায়ামি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরও।
এ কারণে এবারের উৎক্ষেপণে FAA আকাশসীমা প্রায় দ্বিগুণ করে ২,৯৬৩ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত করে। এই মিশনের জন্য যুক্তরাজ্য, বাহামা, তুর্কস ও কাইকোস দ্বীপপুঞ্জ, মেক্সিকো এবং কিউবার সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করেছে স্পেসএক্স।


