প্রথম দেশ হিসেবে আফগানিস্তানের তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দিলো রাশিয়া

চার বছর আগে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের পর ক্ষমতায় আসা আফগানিস্তানের তালেবানশাসিত সরকারকে স্বীকৃতি দিয়েছে রাশিয়া। প্রথম দেশ হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে রাশিয়া এ সরকাকে স্বীকৃতি দিলো।
এর আগে চীন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, উজবেকিস্তান ও পাকিস্তান কাবুলে রাষ্ট্রদূত নিয়োগ করে। তবে তালেবান সরকারের চার বছরের শাসনামলে রাশিয়া একমাত্র দেশ যারা তাদের সরকারকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিলো।
রাশিয়ার এ সিদ্ধান্তকে ‘সাহসী’ পদক্ষেপ বলে মন্তব্য করেছেন আফগানিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি। তিনি বলেন, এই স্বীকৃতি ‘ইতিবাচক সম্পর্কের নতুন অধ্যায়, পারস্পরিক সম্মান ও গঠনমূলক অংশীদারিত্বের সূচনা। এটি অন্য দেশগুলোর জন্য একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আমরা বিশ্বাস করি, ‘ইসলামিক আমিরাত অব আফগানিস্তান’কে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেওয়ার এই পদক্ষেপ আমাদের দেশগুলোর মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে উৎপাদনশীল দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার বিকাশে গতি আনবে। রাশিয়া আরও বলেছে, তারা জ্বালানি, পরিবহন, কৃষি ও অবকাঠামো খাতে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতার সম্ভাবনা দেখছে। সন্ত্রাস ও মাদক চোরাচালানের বিরুদ্ধে কাবুলকে সহযোগিতা দিয়ে যাবে রাশিয়া।
এর আগে কাবুলে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত দিমিত্রি জিরনোভের সঙ্গে বৃহস্পতিবার বৈঠক করেন মুত্তাকি। সেখানে দিমিত্রি আনুষ্ঠানিকভাবে রুশ সরকারের সিদ্ধান্ত আনুষ্ঠানিকভাবে আফগানিস্তানকে জানিয়ে দেন।
২০২১ সালের আগস্টের শেষের দিকে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার প্রক্রিয়া শেষ হয়। মধ্যরাতের পর যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতকে সঙ্গে করে সর্বশেষ সি-১৭ বিমান কাবুল ছাড়ে। বিমানটির কাবুল ছেড়ে যাওয়ার মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধ এবং তালেবান কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর ব্যাপক উদ্ধার অভিযানের অবসান হয়। এর আগে ১৪ আগস্ট কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিল তালেবান।