ফরিদপুরের ভাঙ্গায় জাল দলিল বাতিলের প্রতিবাদে মানববন্ধন
আশিস পোদ্দার বিমান, ফরিদপুর প্রতিনিধি
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় পৌরসভার অন্তর্গত নুরপুর ও হাসামদিয়া মৌজার জমির জাল দলিল বাতিলের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে ভুক্তভোগী পরিবাররা ।
সোমবার (৯ মে) বিকেলে ভাঙ্গা মোনসেফ কোর্ট চত্বরে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয় ।
মানবন্ধনে ভুক্তভোগী পরিবারের ডা দীলিপ চন্দ্র রায় , বিমল চন্দ্র রায় ও কমল চন্দ্র রায় জানান, গোবিন্দ চন্দ্র রায় , তার মেয়ে পদ্মা রাণী রায়কে ২ বছর বয়সে রেখে মারা যায়। গোবিন্দ চন্দ্র মারা যাবার পর তার স্ত্রী তার পিত্রালয় অথবা ভারতে চলে যায়। দীর্ঘ ২০/২৫ বছর ধরে আমাদের পরিবারের সাথে কোন যোগাযোগ নেই এই বিষয়টি লতিফ ভেন্ডার ও হাবিবুর রহমান জানতে পেরে মিথ্যা পদ্মা রাণী বানিয়ে গোপালগঞ্জ জেলার ঠিকানা ব্যবহার করে প্রথমে আম-মোক্তার দলিল করে ৩৭ শতাংশ জমি নিজের নামে করে নেন লতিফ ফকির। পরবর্তীতে লতিফ ফকির তার স্ত্রী কুলসুম বেগমের নামে সাব কবলা দলিল করে নেন । যার তারিখ ১২/১২/২০ ইং ও ১৪/১২/২০২০ ইং। জাল দলিল নং যথাক্রমে ৬২৮৪ ও ৫৭০৮।
ভাঙ্গা সাব –রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখক লতিফ ফকির , তার স্ত্রী কুলসুম বেগম ও হাবিবুর রহমান এর নামে জাল দলিল তৈরি করে বর্তমানে জমি দখলের চেষ্টা চালাচ্ছেন । প্রকৃত জমির মালিকরা তদন্ত সাপেক্ষে এই জাল দলিল বাতিল করে দলিল লেখক লতিফ ফকিরের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবার দাবি জানান ।
অপর অভিযোগকারী এমডি ফিরোজ খয়রাতি বলেন , যেকোন সময় দলিল লেখক লতিফ ফকির ও হাবিবুর রহমান গংরা আমাদের যেকোন সময় ক্ষতি সাধন করতে পারে , আমরা এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি ।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত লতিফ ফকির ও হাবিবুর রহমান জানান , আমরা পদ্মা রাণী রায় থেকে নিয়মতান্ত্রিক ভাবে কমিশনের মাধ্যমে জমি রেজিস্ট্রি করে নেই । আমরা কোন জাল দলিল করে জমি খরিদ করি নাই । প্রাপ্য মুল্য দিয়ে জমি ক্রয় করেছি। অভিযোগকারীদের অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন । জাল দলিলের বিষয়ে পদ্মা রাণী রায়ের চাচারা আদালতে মামলা করেছেন যা চলমান আছে । আদালতই সিদ্ধান্ত দিবে আমার দলিল জাল না সঠিক দলিল ।
এ ব্যাপারে ভাঙ্গা উপজেলার সাব রেজিস্টার মোঃ বিল্লাল হোসেন জানান এ বিষয়ে আদালতে মামলা চলমান আছে। তদন্ত করে ইতিপূর্বেই তদন্ত প্রতিবেদন জেলা সাব রেজিস্ট্রার অফিসে জমা দেওয়া হয়েছে ।