ফরিদপুরে জোবায়দা করিম জুটমিলে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা
ফরিদপুর প্রতিনিধি
ফরিদপুরের বাখুন্ডায় জোবায়দা করিম জুটমিলে ভয়াবহ অগ্নিকান্ড ঘটেছে। এতে মিলের চারটি শেডই পুড়ে গেছে। ভস্মি়ভূত হয়েছে সেখানকার মালামাল।
আজ রোববার (১৪ মে) বিকেল পৌনে চারটার দিকে দক্ষিণ-পশ্চিম কোনের এক নম্বর শেড থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে জানা গেছে। রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বিকেল (সাড়ে পাঁচটার দিকে) আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও ভস্মীভূত শেড থেকে ধোঁয়া উড়তে দেখা গেছে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নেভাতে সেখানে কাজ করছিলো। জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে ফায়ার সার্ভিসের ৭ টি ইউনিট এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে।
অগ্নিকান্ডে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয়ে কাজ চলছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ব্যাপক হবে বলে ধারনা করা হচ্ছে। জেলার গেরদা ইউনিয়নে অবস্থিত জোবায়দা করিম জুট মিল এ অঞ্চলের একটি বৃহৎ পাটজাত পণ্য প্রক্রিয়াকরণ কারখানা। এখানে পাট থেকে সূতা ও চটজাত মালামাল উৎপাদন করা হয়। মোট চারটি শেডে পাট প্রক্রিয়াজাতকরণ সহ সূতা ও চটজাত পণ্য উৎপাদন করা হয়।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মিল শ্রমিক ফজলু মিয়া (৫০) বলেন, বিকেল পৌনে চারটার দিকে দক্ষিণ পশ্চিম দিকে পাট প্রক্রিয়াকরণের প্রথম শেড থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। এরপর একে একে সবকটি শেডে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
খবর পেয়ে প্রথমে ফরিদপুর থেকে এবং পরে আশেপাশের অন্যান্য উপজেলা থেকে ফায়ার সার্ভিসের ৭টি ইউনিট এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার, পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান, জুটমিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাহাঙ্গীর মিয়া সহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
ফরিদপুরের ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক মো. আসাদুজ্জামান বলেন, আগুন নেভাতে আমাদের ৭টি ইউনিট কাজ করছে। প্রায় দুই ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারলেও এখনো বিভিন্নস্থান থেকে ধোঁয়া উড়তে দেখা গেছে। তিনি জানান, আগুন নেভানোর পরে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করা হবে।
ফরিদপুর জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার বলেন, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয়ের পর এব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে৷ তিনি বলেন, জোবায়দা করিম জুট মিল অত্রাঞ্চলের একটি বড় ধরনের শিল্প প্রতিষ্ঠান। এখানে কয়েক হাজার শ্রমিকের কর্মসংস্থান হয়। অগ্নিকাণ্ডের পর প্রতিষ্ঠানটি কিভাবে পুনরায় সচল করা যাবে সেটি ভাবনার বিষয়।
এব্যাপারে জোবায়দা করিম জুটমিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাহাঙ্গীর মিয়া কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।