বাংলাদেশ অষ্ট্রেলিয়ার মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণের বিপুল সম্ভাবনা ও সুযোগ রয়েছে: বিজিএমইএ সভাপতি
রেযা খান
বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, গভীর সহযোগিতার মাধ্যমে বাংলাদেশ ও অষ্ট্রেলিয়ার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধির অপার সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি বলেন, বিগত বছরগুলোতে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য যথেষ্ট বৃদ্ধি পেয়েছে এবং দেশ দু’টির সামনে এখনো আরও অনেক সুযোগ রয়েছে, যা কাজে লাগানো হলে উভয় পক্ষই উপকৃত হতে পারে।
আজ সোমবার (১৫ মে) ঢাকায় অষ্ট্রেলিয়া সরকারের পররাষ্ট্র বিষয়ক সহকারী মন্ত্রী, টিম ওয়াটস এমপি’র সঙ্গে সাক্ষাতকালে এসব কথা বলেন তিনি।
সভায় অষ্ট্রেলিয়ান ডিপার্টমেন্ট অফ ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড ট্রেড, অষ্ট্রেলিয়ার এর বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা এবং মালদ্বীপ সেকশন এর পরিচালক ব্রেন্ডন হজসন এবং সহকারী সচিব, ভারত মহাসাগর ও দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চল, মেগান জোনস, লুইসা বোচনার , উপদেষ্টা, পররাষ্ট্র বিষয়ক সহকারী মন্ত্রীর কার্যালয় এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত অষ্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার জেরেমি ব্রুয়ার উপস্থিত ছিলেন।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, এমপি; মহিবুল হাসান চৌধুরী, এমপি, শিক্ষা উপমন্ত্রী, বাংলাদেশ সরকার এবং রাসেল টি আহমেদ, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস, বেসিস এর সভাপতি। তারা অষ্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণের সম্ভাব্য ক্ষেত্রসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
বৈঠকে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের সম্ভাবনা এবং প্রবৃদ্ধির গতি অব্যাহত রাখার প্রস্তুতিসহ প্রাসঙ্গিক বিভিন্ন বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়। বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান অষ্ট্রেলিয়া সরকারের পররাষ্ট্র বিষয়ক সহকারী মন্ত্রীকে কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা, পরিবেশগত টেকসই উন্নয়ন এবং শ্রমিকদের অধিকার ও কল্যাণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের ব্যাপক অগ্রগতি সম্পর্কে অবহিত করেন।
তিনি বলেন, পোশাক ও টেক্সটাইল শিল্পের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে বাংলাদেশ অষ্ট্রেলিয়া থেকে আরও কটন ও উল আমদানি করতে আগ্রহী। বিজিএমইএ সভাপতি অষ্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্র বিষয়ক সহকারী মন্ত্রীকে আগামি ১৮ জুলাই ২০২৩ তারিখে অষ্ট্রেলিয়ায় বিজিএমইএ এর উদ্যোগে আয়োজিতব্য বাংলাদেশ অ্যাপারেল সামিট বিষয়ে অবহিত করেন এবং অনুষ্ঠানটি আয়োজনে সহযোগিতা প্রদানের অনুরোধ জানান।