সেনবাগে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মাদ্রাসার ছাত্রের মৃত্যু,আহত ১
এম এ আউয়াল, সেনবাগ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
নোয়াখালীর সেনবাগে বিদ্যুৎস্পৃষ্ঠ হয়ে দীর্ঘ ১৩ দিন মৃত্যুর সাথে লড়াই করে পরপারে চলে গেলেন মাদ্রাসা ছাত্র মো:নাহিদ (১৩)।
মঙ্গলবার রাতে গুরুতর আহত নাহিদ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের শেখ হাসিনা বার্ণ ইউনিটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।
নিহত নাহিদ উপজেলার খাজুরিয়া সর্দারপাড়ার মো: মনির আহমেদ এর ছেলে এবং খাজুরিয়া সর্দারপাড়া জামেয়া মোহাম্মদিয়া মাদ্রাসার হিফজ কোরআন বিভাগের ছাত্র । এ ঘটনায় মাহদি হাসান (১৬) গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছে। মাহদি হাসান ছাতারপাইয়া রহমান চেয়ারম্যান বাড়ীর মো: সেলিমের ছেলে।
উল্লেখ্য গত ৫ মে শুক্রবার দুপুরে মাদ্রাসার হোস্টেলে থাকা শিক্ষকদের নির্দেশে নাহিদ ও মাহদি চার তলা ভবনের তয় তলা ছাদের উত্তর পাশের কার্ণিশ পরিস্কার করতে যায় । পরিচ্ছন্নতার সময় ভবনের পাশ দিয়ে স্থাপিত ৩৩ হাজার ভোল্টের বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইনে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন নাহিদ এবং মাহদি বিদ্যুৎস্পৃষ্ঠ হয়ে চারতলা থেকে নীচে পড়ে গুরুতর আহত হয় ।
আহত অবস্থায় শিক্ষক ও এলাকাবাসী ঘটনাস্থল থেকে গুরুত্বর আহত দুই ছাত্রকে উদ্ধার করে নোয়াখালী সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে তাদের অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের শেখ হাসিনা বার্ণ ইউনিটের আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। মঙ্গলবার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নাহিদের মৃত্যু ঘটে। মাদ্রাসা ছাত্র নিহত ও আহতের ঘটনায় ওই এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসী জানান, শিক্ষকদের চরম অবহেলা ও দায়িত্বহীনতার কারনে কোরানে হাফেজের মৃত্যুতে জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন।
সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী জানান, খবর পেয়ে আজ বুধবার দুপুরে ঘটনাস্থলে পুলিশের একটি টিম পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ পেলে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মাদ্রাসা প্রধান মাওলানা ছালে আহমেদের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করেও সংযোগ পাওয়া যায়নি। বিশ্বস্ত একটি সূত্র জানায়, প্রভাবশালী একটি চক্র বিষয়টিকে ধামাচাপা দিতে তৎপর রয়েছে।