লক্ষ্মীপুরে চাঞ্চল্যকর জোড়া খুনের ২০ দিন পর আ.লীগ নেতা কাশেম জিহাদী বহিস্কার
মামুনুর রশিদ, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি পদ থেকে আবুল কাশেম জিহাদীকে বহিস্কার করা হয়েছে। জিহাদী যুবলীগ নেতা আবদুল্লাহ আল নোমান ও ছাত্রলীগ নেতা রাকিব ইমাম হত্যা মামলার প্রধান আসামি। নিজের নামে কাশেম জিহাদী বাহিনী গড়ে দুই যুগ ধরে সন্ত্রাসী কার্যক্রম করার অভিযোগ রয়েছে তার নামে।
বুধবার (১৭ এপ্রিল) রাত ৯ টার দিকে চন্দ্রগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কাশেম চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল ওহাবের স্বাক্ষর করা প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বহিস্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। হত্যাকাণ্ডের ২০ দিন পর এ সিদ্ধান্ত এসেছে।
এরআগে বিকেলে জেলা আওয়ামী লীগের অস্থায়ী কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রীর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানেও কাশেম জিহাদীকে বহিস্কারের দাবি তোলেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। এরপর রাতে বহিস্কারের প্রেস বিজ্ঞপ্তি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে পোস্ট করা হয়।
এদিকে নোমান জেলা আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত কমিটির শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। এরপরও নোমান-রাকিব হত্যার ২০ দিন পার হলেও কাশেম জিহাদীকে দল থেকে বহিস্কারের বিষয়ে সিদ্ধান্তহীনতায় ছিল দায়িত্বশীল আওয়ামী লীগ নেতারা। এখন আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতাকর্মী ও বশিকপুরবাসীসহ সচেতন মহলের চাপের মুখে পড়ে জিহাদীকে দল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে।
চন্দ্রগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কাশেম চৌধুরী গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, জিহাদীকে বহিস্কারের সিদ্ধান্ত আগেই নেওয়া হয়েছে। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নয়ন এমপির সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় ছিলাম। এখন চিঠি দিয়েছি।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নোমান ও রাকিব হত্যা মামলায় কাশেম জিহাদীকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। তার কারণে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে। এতে তাকে চন্দ্রগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হল। একই সঙ্গে দল থেকে স্থায়ীভাবে বহিস্কারের জন্য কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কাছে সুপারিশ পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২৫ এপ্রিল রাতে সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের পোদ্দারবাজার এলাকায় জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নোমান ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রাকিবকে গুলি করে হত্যা করা হয়। পরদিন রাতে নিহত নোমানের বড় ভাই ও বশিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান বাদী হয়ে ৩৩ জনের বিরুদ্ধে চন্দ্রগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এতে চন্দ্রগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবুল কাশেম জিহাদীকে প্রধান করে ১৮ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ১৫ জনকে আসামি করা হয়।