সাতক্ষীরায় ধর্ষন মামলায় শহীদুল ইসলাম আবীর ওরফে আবিয়ার রহমান (৫০) নামের এক ইউপি সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও একই এলাকার শফিকুল ইসলাম সরদারের ছেলে।
গতকাল সোমবার(১২ জুন) রাতে পোড়াকাটলা এলাকায় নিজ বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলাম বাদল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের এক অষ্টম শ্রেনীর ছাত্রীকে (১৭) ২০২২ সালের ২৮ ডিসেম্বর রাতে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষন করেন আবিয়ার রহমান। এসময় তিনি ধর্ষনের ভিডিও মোবাইলে ধারন করে রাখেন। সেই ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ওই কিশোরীকে প্রায়ই তিনি ধর্ষন করতেন। একপর্যায়ের মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে গেলে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে নিয়ে গর্ভপাত ঘটান ইউপি সদস্য আবিয়ার রহমান। এ ঘটনা জানাজানির পর মেয়েটির পরিবারের পক্ষ থেকে বিয়ের জন্য চাপ দেওয়া হলে আবিয়ার রহমান তা করতে অস্বীকৃতি জানান।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শ্যামনগর থানার উপপরিদর্শক মোঃ শাখায়েতুল ইসলাম জানান, ভুক্তভোগী কিশোরীর নানী বাদী হয়ে তিনজনকে আসামী করে গতকাল সোমবার(১২ জুন) শ্যামনগর থানায় একটি ধর্ষন মামলা দায়ের করেন(মামলা নং ৩৩/২৫২)। মামলায় ইউপি সদস্য শহীদুল ইসলাম আবির ওরফে আবিয়ার রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। অন্য আসামীদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।