ফরিদপুর কোতয়ালী থানার ওসি এম এ জলিলকে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও পুলিশ স্কয়ার মার্কেট নির্মানে অনিয়ম, দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাত ও সেবাগ্রহীতাদের সাথে অসদাচরণের অভিযোগে জিঙ্গাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ বুধবার (১৪ জুন) সকাল ১০ টায় শহরের ঝিলটুলিস্থ ফরিদপুর দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে তাকে তলব করে জিঙ্গাসাবাদ করা হয়।
প্রায় আড়াইঘন্টা যাবৎ তাকে জিঙ্গাসাবাদ করেন দুদকের উপ-পরিচালক।
ওসিকে জিঙ্গাসাবাদের বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে দুদক, সমন্বিত জেলা কার্যালয় ফরিদপুর এর উপ-পরিচালক রেজাউল করিম বলেন, ফরিদপুর কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এম এ জলিলের বিরুদ্ধে কোতয়ালী থানা সংলগ্ন দক্ষিন পাশের পুলিশ স্কয়ার মার্কেট নির্মাণের সময় দুর্নীতি, অর্থ আত্মসাত ও জালিয়াতি আশ্রয়ের অভিযোগ ও তার ব্যাক্তিগত অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের বিষয়ে তাকে জিঙ্গাসাবাদ করতে ডাকা হয়েছিল।
তিনি বলেন, আমরা ওসির অভিযোগগুলো তদন্ত করে দেখছি। এজন্য তদন্তের সার্থে বিস্তারিত বলতে পারছি না। ওসির বিরুদ্ধে এছাড়াও সেবাগ্রহীতাদের সাথে অসদাচরণ, থানায় ঘুষ গ্রহনসহ এরকম অপরাধের সব রকম অভিযোগ আমাদের কাছে আছে। আমরা সব অভিযোগ তদন্ত করছি।
দুদকে তলবের বিষয়ে ফরিদপুর কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এম এ জলিল সাংবাদিকদের তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের বিষয়গুলো অস্বীকার করেন।
তিনি বলেন- পুলিশ স্কয়ার মার্কেটের বিষয়ে বেনামে চিঠির বিষয়ে আমাকে ডেকেছিলো। অভিযোগের বিষয় ছিলো- মার্কেট নিয়ে অনেক টাকা আত্মসাৎ হয়েছে কিন্তু মার্কেটতো সাবেক এসপি আলিমুজ্জামান স্যার থাকাকালীন হয়েছে এবং টাকার বিষয়ে ব্যাংকের মাধ্যমে লেনদেন হয়েছে। এখানে এক টাকাও এদিক-সেদিক হয়নি। সব টাকা ব্যাংকের মাধ্যমে লেনদেন হয়েছে। একজন বেনামে চিঠি দিতেই পারে।
ব্যাক্তিগত সম্পদ অর্জন বা তার বিরুদ্ধে আনীত অন্যান্য অভিযোগগুলোর বিষয়ে কোন মন্তব্য করেননি তিনি।