পুলিশের গুলিতে অপ্রাপ্তবয়স্ক তরুণের মৃত্যুতে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে ফ্রান্স। শনিবার (১ জুলাই) মধ্যরাতেও বিক্ষোভকারীরা ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছেন। গাড়িতে অগ্নিসংযোগ, দোকানপাটে ভাঙচুর করেছেন তারা।
ঘটনার সূত্রপাত ঘটে গত মঙ্গলবার। ওইদিন সকালে প্যারিসের উপশহর নানতেরে ট্রাফিক বিধি অমান্য করে জোরে গাড়ি চালানোর অভিযোগে নাহেল এম. নামের ১৭ বছর বয়সী এক তরুণকে গাড়ি থামানোর নির্দেশ দিয়েছিল পুলিশ। কিন্তু নাহেল তাতে কর্ণপাত না করে গাড়ি নিয়ে সরে পড়ার চেষ্টা করলে তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন পুলিশ সদস্যরা। এতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় নাহেলের।
ফ্রান্সে পুলিশের গুলিতে কিশোর নিহত হওয়ার ঘটনায় শুরু হওয়া বিক্ষোভ তীব্র থেকে আরও তীব্র হচ্ছে। গত রাতে সবচেয়ে বেশি বিক্ষোভ হয়েছে লিঁও শহরে।
ফরাসি সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, এ শহরে আইন-শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর অন্তত ৩৫ জন সদস্য আহত হয়েছেন। যার মধ্যে দুইজনকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে।
শহরটির সাধারণ মানুষ আশঙ্কা করেছেন, যদি আরও পুলিশ মোতায়েন না করা হয় তাহলে পরিস্থিতি সামনে আরও খারাপ হবে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে পোস্ট করা বিভিন্ন ভিডিওতে দেখা গেছে, পুলিশের উপস্থিতিতেই দোকানে, ভবনে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করছেন বিক্ষোভকারীরা, গাড়ি ও অন্যান্য যানবাহন জ্বালিয়ে দিচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার রাতে বিক্ষোভকারীরা ফ্রান্সের পূর্বাঞ্চলীয় শহর লিওনে একটি ট্রামে অগ্নিসংযোগের পর দেশটির অভ্যন্তরীণ সড়ক ও পরিবহন কর্তৃপক্ষ শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, পরিস্থিতি শান্ত না হওয়া পর্যন্ত বাস ও ট্রাম চলাচল বন্ধ থাকবে ফ্রান্সে।
শুক্রবার ব্রাসেলসে জরুরি সফর বাতিল করে মন্ত্রিসভার সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ। বৈঠক শেষে দেশটির প্রধানমন্ত্রী এলিজাবেথ বোর্ন জানিয়েছেন, পরিস্থিতি যদি আরও খারাপের দিকে যায়, সেক্ষেত্রে জরুরি অবস্থা জারি করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে বৈঠকে।’