গ্রিস ৫০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে উষ্ণতম জুলাইয়ের মুখোমুখি হয়েছে। দেশটিতে তাপমাত্রা ৪০ সেলসিয়াস এর উপরে যাওয়ার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণাঞ্চল জুড়ে প্রসারিত আসন্ন তাবদাহ রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
উত্তর গোলার্ধের কয়েক মিলিয়ন মানুষ এই গ্রীষ্মে তীব্র গরমে ভুগছে। বিশ্ব রেকর্ডে এই গোলার্ধ উষ্ণতম জুলাইয়ের দিকে যাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে।
তাপমাত্রার রেকর্ড ছাড়িয়ে যাওয়ায় বিশেষজ্ঞরা এই পরিস্থিতির জন্য জীবাশ্ম জ্বালানী পোড়ানোকে দায়ী করে জলবায়ু পরিবর্তনের দিকে আঙুল তুলেছেন। তারা বলেছেন, জীবাশ্ম জ্বালানী পোড়ানোর কারণে বৈশ্বিক উষ্ণতা ধ্বংসাত্মক আবহাওয়ার মূল ভূমিকা পালন করছে।
ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিস (এনডব্লিউএস) বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণাঞ্চল জুড়ে প্রায় ৮০ মিলিয়ন আমেরিকান এই সপ্তাহান্তে ৪১ ডিগ্রি তাপমাত্রার মুখোমুখি হয়েছে এবং এই সপ্তাহের শেষ দিকে তাপমাত্রা আরো বৃদ্ধি পাবে।
ফিনিক্স ও অ্যারিজোনায় তাপমাত্রা ৪৬ ডিগ্রিতে পৌঁছাবে বলে পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। গত তিন সপ্তাহ যাবত এখানে তাপমাত্রা ৪৩ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে। বৃহস্পতিবার শহরে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে একটি প্রোপেন (বোতলজাত হাইড্রোকার্বন গ্যাস) ব্যবসা কেন্দ্রে একটি ভয়ঙ্কর অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এতে গ্যাস ট্যাঙ্কগুলো বাতাসে বিষ্ফোরিত হয়ে নারকীয় পরিস্থিতি তৈরি করে।
ফায়ার ক্যাপ্টেন রব ম্যাকডেড কেপিএইচও টেলিভিশন স্টেশনকে বলেছেন, ‘দুর্ভাগ্যবশত, এইরকম গরমের দিনে, এই প্রোপেন ট্যাঙ্কগুলো তাপের প্রসারণে আক্ষরিক অর্থে ক্ষেপণাস্ত্রে পরিণত হয়। এ গুলো ৫০০ গজ (মিটার) উপরে যেতে পারে।’
অনেকেই আশঙ্কা করছেন, তাপমাত্রা ৫৬.৭ ডিগ্রির বিশ্ব রেকর্ড ভাঙবে, যা ১৯১৩ সালের জুলাই মাসে সেট করা হয়েছিল। তবে বেশ কিছু আবহাওয়াবিদদের মতে এটি সম্ভবত একটি ত্রুটিপূর্ণ পরিমাপের ফলাফল ছিল।
নাসার জলবায়ুবিদ গ্যাভিন শ্মিট বলেছেন, নির্বিশেষে জুলাই ২০২৩ সবচেয়ে উষ্ণতম মাস হতে চলেছে। শুধুমাত্র রেকর্ড শুরু হওয়ার পর থেকে নয়, ‘হাজার হাজার বছর না হলেও শত শত বছরের মধ্যে এটি হবে রেকর্ড তাপমাত্রা।’
প্রভাবগুলোকে শুধুমাত্র এল নিনোর আবহাওয়ার ধরণকে দায়ী করা যায় না, যা ‘সত্যিই কেবলমাত্র আবির্ভূত হয়েছে’ এবং বছরের শেষ নাগাদ এটি শক্তিশালী হবে এমন মনে হচ্ছে না।