ভারতের বিষ্ণুপুর, চূড়াচাঁদপুরের পর এবার ইম্ফলে শনিবার ((৬ আগষ্ট) রাত থেকে নতুন করে অশান্তি ছড়িয়েছে । স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষে জানানো হয়েছে, শনিবার সন্ধ্যায় উন্মত্ত জনতা লাংগল গ্রামে ঢুকে ১৫টি বাড়ি জ্বালিয়ে দেয়।
এলোপাথাড়ি গুলিও ছোড়ে উন্মত্ত জনতা । পায়ে গুলি লেগে এক যুবক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তবে এই ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কোনো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে বেশ কয়েক রাউন্ড কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায় নিরাপত্তা বাহিনী।
শনিবার দুপুরের দিকে উত্তেজনা ছড়ায় ইম্ফল পূর্ব জেলাতেও। সেখানকার চেকন এলাকায় একটি বড় বাণিজ্যিক ভবনে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়।
পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণে ইতোমধ্যে সেখানে সেনাবাহিনী নামিয়েছে প্রসাশন; আট জেলায় জারি করা হয়েছে কারফিউ। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ৫ দিনের জন্য ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
শনিবার একটি সংগঠন ইম্ফলের দুই জেলায় প্রতিবাদ কর্মসূচির ডাক দিয়েছিল। ওই সংগঠনের মিছিলের জেরে দৈনন্দিন কাজকর্ম প্রায় স্তব্ধ হয়ে যায়। শুক্রবার রাতে মণিপুরের বিষ্ণুপুর জেলার মেইতেই অধ্যুষিত কাওয়াকটা এলাকায় সশস্ত্র কুকি উগ্রবাদীদের হামলায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। পাল্টা হামলায় ওই এলাকায় কুকিদের কয়েকটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। এই ঘটনায় মৃত্যু হয় দু’জনের।
গত ৩ মে জনজাতি ছাত্র সংগঠন ‘অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অফ মণিপুর’ (এটিএসইউএম)-এর কর্মসূচি ঘিরে মণিপুরে অশান্তির সূত্রপাত। মণিপুর হাইকোর্ট মেইতেইদের তফসিলি জনজাতির মর্যাদা দেয়ার বিষয়টি নিয়ে রাজ্য সরকারকে বিবেচনা করার নির্দেশ দিয়েছিল। এর পরেই জনজাতি সংগঠনগুলি তার বিরোধিতায় পথে নামে। আর সেই ঘটনা থেকেই সংঘাতের সূচনা হয় সেখানে।
মণিপুরের আদি বাসিন্দা হিন্দু ধর্মাবলম্বী মেইতেই জনগোষ্ঠীর সাথে কুকি, জোসহ কয়েকটি তফসিলি জনজাতি সম্প্রদায়ের (যাদের অধিকাংশই খ্রিস্টান) সংঘর্ষে এখনো পর্যন্ত প্রায় ২০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ঘরছাড়ার সংখ্যা প্রায় ৬০ হাজার। সূত্র : আনন্দবাজার



