তোশাখানা মামলায় পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে গ্রেফতার ও অন্যান্য রাজনীতিবিদের বিরুদ্ধে চলমান মামলাকে ‘অভ্যন্তরীণ বিষয়’ বলছে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর। দেশটির কাছে ই-মেইলে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে এ কথা জানিয়েছে বাইডেন প্রশাসন।
এতে আরও বলা হয়, দেশটিতে এবং বিশ্বের অন্য স্থানগুলোও গণতান্ত্রিক রীতিনীতি এবং আইনের শাসনের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্য আহ্বান জানায় যুক্তরাষ্ট্র। ইমরান খানকে ক্ষমতাচ্যুত করার নেপথ্যে যুক্তরাষ্ট্র রয়েছে এমন অভিযোগকে যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিহীন বলে উল্লেখ করেছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন জিও নিউজ।
গতকাল শনিবার দুর্নীতি মামলায় ৩ বছরের কারাদণ্ডের পর পাকিস্তানের লাহোর থেকে ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ইসলামাবাদের একটি আদালত তোশাখানা মামলায় ইমরান খানকে দোষী সাব্যস্ত করে এ রায় দেন।
শনিবার দুপুরে আদালতের রায় ঘোষণার পর লাহোরের জামান পার্কের বাসভবন থেকে পাঞ্জাব পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। কারাদণ্ডের পাশাপাশি ইমরান খানকে ১ লাখ রুপি অর্থদণ্ডও দিয়েছেন আদালত।
ইমরানের বিরুদ্ধে তোশাখানার মামলাটি করে পাকিস্তান নির্বাচন কমিশন। এ মামলায় ইমরানের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী থাকার সময় পাওয়া উপহার রাষ্ট্রীয় তোশাখানায় জমা না দিয়ে বিক্রির অভিযোগ আনা হয়েছে।
পাকিস্তানের আইন অনুযায়ী, ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা নির্বাচনে অংশ নেওয়ার যোগ্যতা হারান। নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে বা তার আগেই হতে পারে পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন।



