জানা যায়, পাটের তৈরি নতুন যে ছালা বা বস্তাটি ৬০ টাকায় কিনতে হয়, সেই রিপিয়ারিং ছালা বা বস্তাটি ৩০ টাকায় ক্রয় করতে পারেন পণ্য ব্যবসায়ীরা। এতে পণ্য ব্যবসায়ীরা বেশ সাশ্রয়ী মূল্যে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারেন।
ছালা মেরামত কাজে ছোট বড় প্রায় ৭০ টির মতো প্রতিষ্ঠান রয়েছে শম্ভুগঞ্জে। আর এ কাজে নিয়োজিত রয়েছেন প্রায় পাঁচ হাজারের অধিক শ্রমিক, যার ৭৫ শতাংশ নারী। প্রতি মাসে ৫ থেকে ৬ কোটি টাকার রিপিয়ারিং ছালা শুধু শম্ভুগঞ্জ থেকেই বিক্রি হয় দেশের বিভিন্ন স্থানে। অতিরিক্ত খাজনার চাপে গরীবের ইন্ড্রাষ্টি হিসাবে পরিচিত শম্ভুগঞ্জের ছালা রিপিয়ারিং কারখানা বন্ধের আতংকে আছেন মালিক শ্রমিকরা।
রিপিয়ারিং ব্যবসায়ীরা জানান, ট্রেড লাইসেন্স, টিন সার্টিফিকেট ইনকাম টেক্স লাইসেন্স, ফায়ার লাইসেন্স, পাট মন্ত্রণালয়ের লাইসেন্স করলেও তাদেরকে অতিরিক্ত খাজনা দিতে হয়, ব্যাংক ঋণসহ বিভিন্ন কারণে খরচ বেড়ে যাওয়ার তাদের ব্যবসা বন্ধ করতে বা অন্যত্র সরিয়ে নিতে হবে এমনটাই জানান তারা। এতে তাদের যেমন অর্থনৈতিক ক্ষতি হবে তেমনি এখানে কর্মরত শ্রমিকরাও বেকার হয়ে পরবে। কারখানা চালু রাখতে অতিরিক্ত খাজনা প্রত্যাহারের দাবী তাদের।
এদিকে অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের বিষয়ে কিছু জানেনা বলে জানিয়েছেন সিটি মেয়র ইকরামুল হক টিটু। তিনি বলেন এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে ব্যবসায়ীক পরিস্থিতি বুঝে আলোচনার ভিত্তিতে সব সমস্যার সমাধান সম্ভব বলেও জানান তিনি।
যাই হোক, ছেড়া ফাটা ছালার রিপিয়ারিং কারখানা সচল রেখে অসহায় মানুষদের জীবন জীবিকার পথ মসৃন থাকুক এমনটাই প্রত্যাশা সকলের।