বর্তমানে আমরা সবাই কম বেশী আবহাওয়ার পরিবর্তন অনুভব করছি। শিশু থেকে বয়স্ক সব বয়সেই মানুষকেই প্রভাবিত করে ঋতুর এই পরিবর্তন। এসময় সর্দি, জ্বর, গলা ব্যথা এবং কাশির সমস্যা দেখা দেয় ঘরে ঘরে। এসময় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ও বিভিন্ন সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য আপনাকে খেতে হবে কিছু সবজি।
চলুন জেনে নেওয়া যাক শীতের ৫টি উপকারী সম্পর্কে-
১. ফুলকপি
শীতকালীন জনপ্রিয় একটি সবজি হলো ফুলকপি। এটি শুধু খেতেই সুস্বাদু নয় সেইসঙ্গে পুষ্টিগুণেও ভরপুর। এটি ভিটামিন সি সমৃদ্ধ, যা রোগ প্রতিরোধ বাড়ানোর জন্য অপরিহার্য। সেইসঙ্গে এতে ক্যালসিয়াম, প্রোটিন, ম্যাগনেসিয়াম এবং জিঙ্কের মতো বৈশিষ্ট্য রয়েছে। তাই শীতকালে আপনার খাদ্যতালিকায় ফুলকপি এবং অন্যান্য রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিকারী খাবার যোগ করুন। সুস্থ থাকুন।
২. ব্রকলি
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ব্রকলি শীতকালের অন্যতম সেরা সবজি। এটি ভিটামিন কে, সি, ফোলেট এবং ফাইবারের মতো পুষ্টিতে পরিপূর্ণ, যা আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করতে এবং স্বাস্থ্যকর পাচনতন্ত্র বজায় রাখতে সহায়তা করে। তাই এই মৌসুমে নিয়মিত ব্রকলি খাবেন। রান্না কিংবা সেদ্ধ করে খাওয়ার পাশাপাশি এটি দিয়ে সালাদ, স্যুপ ইত্যাদি তৈরি করে খেতে পারেন।
৩. পালং শাক
শীতকালীন শাক-সবজির মধ্যে পালং শাক অন্যতম। এটি শীতকালে সবচেয়ে বেশি খাওয়া হয় কারণ এর রয়েছে অসংখ্য স্বাস্থ্য উপকারিতা। আপনি যদি এই ঋতুতে আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে চান, তাহলে শাক-সবজিকে আপনার খাদ্যের নিয়মিত অংশ করুন। পালং শাকে প্রচুর ভিটামিন এ, বি, সি, ই, কে, জিঙ্ক, ম্যাগনেসিয়াম এবং আয়রন রয়েছে। এটি রোগ প্রতিরোধ উন্নত করতে, হাড়কে শক্তিশালী করতে এবং হিমোগ্লোবিন বাড়াতে সহায়ক। আপনি বিভিন্ন সুস্বাদু খাবার যেমন পালং শাকের স্যুপ, পালং পনির ইত্যাদি তৈরি করে খেতে পারেন।
৪. মুলা
সাদা মুলা পটাসিয়াম, সোডিয়াম, ভিটামিন সি এবং ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ। এটিতে কম ক্যালোরি এবং উচ্চ জলীয় সামগ্রী রয়েছে, যা আপনাকে শীতকালে হাইড্রেটেড থাকতে সাহায্য করবে। মুলার পুষ্টি উপাদান ফ্লু-এর মতো অসুস্থতার সঙ্গে লড়াই করতে সাহায্য করে। মুলা কাঁচা কিংবা রান্না করে দুইভাবেই খাওয়া যায়। মুলা আমাদের দেশের একটি জনপ্রিয় শীতকালীন সবজি।
৫. গাজর
গাজর একটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিকারী খাবার যা কাঁচা এবং রান্না উভয়ভাবেই খাওয়া যায়। এতে ভিটামিন এ, বি, বি২, বি৩, সি, কে এবং বিটা-ক্যারোটিন সহ প্রাকৃতিকভাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এমন উপাদান রয়েছে। এছাড়াও গাজরে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা শীত মৌসুমে খাওয়ার জন্য আদর্শ। সালাদ, পোলাও এবং বিভিন্ন উদ্ভিজ্জ খাবারের সঙ্গে গাজর ব্যবহার করতে পারেন।