বেদানা খেলে বহু রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমে। তবে বেদানা দিয়ে যে ত্বকের নানা রকম সমস্যার সমাধান করা যায়, তা হয়তো অনেকেই জানেন না। শীত পড়ার আগেই বেদানা দিয়ে ত্বকের যত্ন নিতে শুরু করতে পারেন।
গরমে ত্বকে বেদানার খোসা ব্যবহার করে সান ট্যান (Sun Tan) এড়ানো যায়। রোদে বের হওয়ার আগে, ক্রিম, লোশন বা এসেনশিয়াল অয়েল যাই লাগান না কেন তাতে বেদানার খোসার গুঁড়া লাগান। এটি শুধুমাত্র কড়া রোদ থেকে সুরক্ষাই দেয় না বরং ত্বকের ট্যানিং এবং রোদে পোড়ার সমস্যাও কমায়।
শরীরে রক্তের অভাব থাকলে বেদানা খাওয়ার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদেরা। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট হিসেবে বেদানা দারুণ কাজ করে। বেদানা খেলে বহু রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমে। তবে বেদানা দিয়ে যে ত্বকের নানা রকম সমস্যার সমাধান করা যায়, তা হয়তো অনেকেই জানেন না। পুরোদমে শীত পড়ার আগে তাই বেদানা দিয়েই ত্বকের যত্ন নেওয়ার কাজটি শুরু করা যেতে পারে।
১) বেদানা এবং দই
শুষ্ক ত্বকে চটজলদি জেল্লা ফেরাতে চান? ১ টেবিল চামচ দইয়ের সঙ্গে মিশিয়ে নিন বেদানার রস। মিনিট ১৫ রেখে ঈষদুষ্ণ জলে ধুয়ে ফেলুন। ত্বকের রুক্ষ ভাব দূর হবে, জেল্লাও ফিরে আসবে।
২) বেদানা এবং মধু
ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে শুধু ক্রিম যথেষ্ট নয়। এই সমস্যা দূর করতে পারে বেদানার রস। বেদানার রস এবং মধু সমপরিমাণে মিশিয়ে নিন। ১৫-২০ মিনিট মুখে মেখে রেখে দিন। তার পর ঈষদুষ্ণ জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। আর্দ্রতা বজায় রাখার পাশাপাশি মুখ একেবারে চকচক করবে।
৩) বেদানা এবং ওটমিল
প্রাকৃতিক এক্সফোলিয়েটর হিসেবে ওটমিল বেশ জনপ্রিয়। মুখের মৃত কোষ দূর করতে অনেকেই গোলাপজলের সঙ্গে ওটমিল মিশিয়ে মাখেন। কিন্তু গোলাপ জলের বদলে যদি বেদানার রস দিয়ে প্যাক তৈরি করেন, তা হলে কাজ হবে দ্বিগুণ গতিতে।
৪) বেদানা এবং লেবুর রস
কম বয়সের ব্রণ সেরে গিয়েছে। কিন্তু তার দাগ মুখময় থেকে গিয়েছে। সেই দাগ তুলতে বেদানার রসের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ নিয়মিত মাখলে ব্রণের দাগ মিলিয়ে যাবে। ত্বকের জেল্লাও ফিরে আসবে।
৫) বেদানা এবং শসার রস
একটু রোদ লাগলেই স্পর্শকাতর ত্বকে অস্বস্তি শুরু হয়ে যায়। এমনিতে গোলাপজল মাখেন। কিন্তু একই সঙ্গে ত্বকের জেল্লা ফেরাতে এবং ত্বকের অস্বস্তি নিরাময় করতে চাইলে বেদানার সঙ্গে মিশিয়ে নিতে পারেন শসার রস। টোনার হিসেবে মুখে মাখতে পারেন এই মিশ্রণ, আবার প্যাক হিসেবেও ব্যবহার করতে পারেন।