Uncategorized

যশোরে বিআরটিসির বাসে আগুণ দুর্বৃত্তদের

মোহনা অনলাইন

যশোর শহরের মণিহার এলাকায় দাঁড় করিয়ে রাখা বিআরটিসির (বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন) একটি বাস আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি। গতকাল বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) রাত পৌনে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী ও পরিবহনশ্রমিক সূত্রে জানা গেছে, বিআরটিসির যাত্রীবাহী বাসটি আজ শুক্রবার সকালে শহরের মণিহার প্রেক্ষাগৃহ এলাকা থেকে ভোলার চরফ্যাশনের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল। এ জন্য গতকাল রাতে শহরের মণিহার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এনে বাসটি পার্ক করে রাখেন চালক। এরপর চালক ও তাঁর সহকারী গাড়ি থেকে নেমে যান। রাত পৌনে ১১টার দিকে হঠাৎ গাড়ির পেছনের অংশে আগুন জ্বলতে দেখেন আশপাশের লোকজন। দ্রুত আগুন পুরো বাসে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। কিন্তু এরই মধ্যে বাসের বেশির ভাগ অংশ পুড়ে যায়। রাত সাড়ে ১১টার দিকে বাসের আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

এদিকে খবর পেয়ে পুলিশ, ডিবি, র‌্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে যান। তাঁরা বাসের চালক, চালকের সহকারী, প্রত্যক্ষদর্শীসহ স্থানীয় শ্রমিকনেতাদের সঙ্গে কথা বলেন।

জেলা পরিবহন সংস্থা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আজিজুল আলম বলেন, বাসটি ভোলার চরফ্যাশনে যাওয়ার অপেক্ষায় ছিল। এর মধ্যে কে বা কারা বাসে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়। এ বিষয়ে পুলিশ তদন্ত করছে। আগুনের ধরন দেখে মনে হয়েছে গানপাউডার দিয়ে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। কারণ, আগুন নেভাতে অনেক সময় লেগেছে।

বিআরটিসি বাসটি কাউন্টার থেকে একটু দূরে, বিপরীত দিকে পার্ক করে রাখা ছিল। সেখানে তেমন লোকজনের উপস্থিতি ছিল না। এরই মধ্যে বাসটিতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। বাসের চালক মিলন হাওলাদার সাংবাদিকদের বলেন, গাড়িটি পার্কিং করে রেখে তিনি গোসল করতে গিয়েছিলেন। এর মধ্যে আগুনের খবর পেয়ে ছুটে আসেন, এসে গাড়ির পেছনে ও ওপরে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে দেখেন।

যশোর ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক মামুনুর রশিদ বলেন, প্রায় আধা ঘণ্টায় তাঁরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। কীভাবে বাসে আগুন লেগেছে, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) বেলাল হোসাইন জানান, অগ্নিকাণ্ডের সময় বাসটিতে কোনো যাত্রী বা চালক ছিলেন না। আগুনে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বাসটি নিজেই চলতে শুরু করে। তবে গতি কম থাকায় সামনের চাকায় ব্যারিকেড দিয়ে থামাতে সক্ষম হয়।
তিনি আরও বলেন, এটা অবরোধকারীদের কাজ নাকি অন্য কোনোভাবে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। রহস্য উদঘাটনে পুলিশ তৎপরতা চালাচ্ছে।

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button