জীবনধারা

ধৈর্য্য হারানোর কারন হতে পারে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অতিরিক্ত সময় বিচরণ

মোহনা অনলাইন

সব কাজেই ভীষণ ধৈর্যের অভাব বোধ করছেন। কোনও কাজ এক-দু’বারে না হলে খুব রাগ হয়ে যাচ্ছে। এমনকি পছন্দের সিনেমা বা ভিডিয়ো শেষ পর্যন্ত দেখারও ধৈর্য থাকছে না। প্রথম দু-তিন মিনিট দেখে মাঝখানটা স্কিপ করে যাচ্ছেন। কারও কথা শোনা বা বই পড়ার ক্ষেত্রেও একই রকম সমস্যা হচ্ছে। এই সমস্যা থেকে মুক্তির উপায় কী? ধৈর্য কি আদৌ বাড়িয়ে তোলা যায়?”

এই সমস্যা কমবেশি সকলেরই আছে। এই সমস্যারও একটি কারণ রয়েছে। তার জন্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অনেকাংশে দায়ী। প্রতিনিয়ত এত কনটেন্ট, এত বিষয় আমাদের জোগান দেওয়া হচ্ছে যে, স্বল্প সময়ের মধ্যে সবটা দেখে না ফেলতে পারলে মন খুঁতখুঁত করছে। তাই অনেকটা বড় ভিডিয়ো থেকে কেটে ছোট একটি অংশ রিলের আকারে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে সমাজমাধ্যমে।

খুব অল্প সময়ের মধ্যে সেইটুকু জিনিস দেখে নিলে অতিরিক্ত সময় ব্যয় করে গোটা ভিডিয়ো দেখার প্রয়োজন পড়ছে না। সেই প্রভাব ব্যক্তিগত জীবন কিংবা কাজের ক্ষেত্রেও লক্ষ করা যাচ্ছে। এর থেকে বেরিয়ে আসতে গেলে প্রথমেই একটি অভ্যাস রপ্ত করতে হবে। তা হল এই যে, সারা ক্ষণ নিজেকে বিনোদনের মধ্যে ডুবিয়ে রাখা যাবে না। বদলে বই পড়া যেতে পারে। কাজের জন্য সমাজমাধ্যমে যদি থাকতেই হয়, সে ক্ষেত্রে মাঝেমধ্যে থামতে জানতে হবে। আর একটু সময় নিয়ে ভাবতে হবে যে, একটি রিল থেকে অন্য একটি রিলে যাওয়ার মাঝে কোন কোন শিক্ষা সঙ্গে নিয়ে যেতে পারছেন।

কারণ, সারা দিন যে এত সময় ব্যয় করছেন, এত জায়গায় বিচরণ করছেন, তার থেকে কিছু আহরণ করতে না পারলে, কোনও শিক্ষা নিতে না পারলে লাভ কী হল? ভিতর থেকেও স্বস্তি মিলছে না। শান্তির অভাব ঘটছে। এই জায়গা থেকে বেরোতে হলে নিজেকে বাঁধতে জানতে হবে। যে কোনও একটি বিষয়ে থিতু হতে হবে। ইচ্ছে করবে বার বার অন্যত্র সরে যেতে। কিন্তু সেই ইচ্ছেকে লাগাম পরাতে শিখতে হবে। কারণ, আমাদের মধ্যে যে ইচ্ছেই চাগাড় দিক না কেন, তাকে নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা কিন্তু আমাদের মধ্যেই রয়েছে।”

Advertisement
Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button