‘রকমারি ডট কম’দেশের জনপ্রিয় একটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান। মূলত এই প্রতিষ্ঠানটির মাধ্যমে বই কেনা যেতো। প্রকাশনা সংস্থা এবং ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের মাঝে সেতুবন্ধক হিসেবে কাজ করতো প্রতিষ্ঠানটি।
জানা যায়, ২০১২ সালে নিজেদের কার্যক্রম শুরু করে রকমারি ডট কম। যাত্রা বেশীদিনের না হলেও অল্প কিছুদিনের মাঝেই বই প্রেমিদের মাঝে জনপ্রিয়তা পেতে থাকে রকমারি ডট কম। ফেসবুকে রকমারি’র ভেরিফায়েড পেজটিতে ২৫ লক্ষাধিক ফলোয়ার তথা অনুসারি ছিলেন। রকমারি সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য মূলত এখান থেকেই পেতেন গ্রাহকেরা। ফলে প্রতিষ্ঠানটির প্রচার-প্রচারণা এবং বিপণন ও বিক্রয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল পেইজটির।
পেজটা কেন ফেসবুক সরিয়ে ফেললো এমন প্রশ্নের সঠিক উত্তর জানেন না খোদ মাহমুদুল হাসান সোহাগও। কালবেলাকে তিনি বলেন, পেজটা যে তারা কেন বন্ধ করলো আমরা সেটাও জানি না। আমাদেরকে স্পষ্ট করে কিছু বলা হয়নি। বেশ কিছুদিন আগে একবার পেজে ‘কপিরাইট স্ট্রাইক’ দেওয়া হয়েছিল। তখন সেখানে স্ট্রাইক দেওয়া পক্ষের বিস্তারিত ছিল। আমরা যোগাযোগ করে সেটা ঠিক করেছিলাম। কিন্তু এবারের বিষয়টি কী আমরা জানি না। আমরা বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগ করেও তাদের থেকে আশানুরূপ উত্তর পাচ্ছি না। তাদের দিক থেকে খুব ধীরে ধীরে উত্তর দেওয়া হচ্ছে। আমরা নিজেরাও যোগাযোগ করছি সাথে তাদের বিজ্ঞাপনী সংস্থা এইচটিটিপুল এর মাধ্যমেও চেষ্টা করছি।
সোহাগ আরও বলেন, কিছুদিন আগে একটি বই নিয়ে পেজে পোস্ট করা হয়েছিল যেখানে কিছু শব্দ ছিল, যা এআই বট ধরলো কি না, আমরা সেটাই সন্দেহ করছি।
অদ্যবধি পেজে মার্কেটিং বাবদ কয়েক কোটি টাকার বিনিয়োগ রয়েছে রকমারি ডট কম এর। পেইজটা ‘ডাউন’ হওয়াতে ব্যবসায়িকভাবে রকমারি ডট কম ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন বলে মন্তব্য করেন প্রতিষ্ঠানটির অন্যতম এই প্রতিষ্ঠাতা। পাশাপাশি ফেসবুকে ‘রকমারি ডট কম’ নাম দিয়ে অন্য কোন পেজ দেখলে সেটা ভুয়া হতে পারে বলেও সতর্ক করেন সোহাগ। এজন্য গ্রাহকদের সতর্ক আহবান জানান তিনি।
সোহাগ বলেন, আমরা আশা করছি যে পেজটা আমরা ফিরে পাব। তবে এর মাঝে আমাদের যে ব্যবসায়িক ক্ষতি হলো সেটা আসলে হিসেব করাও সম্ভব না। আর আমাদের নাম ব্যবহার করে অন্য কোন পেজ দেখলে গ্রাহকদের সতর্ক থাকার আহবান রইলো। আমাদের আরও কিছু পেজ রয়েছে যেমন ‘রকমারি সুপারস্টোর’। এসব পেজ থেকে গ্রাহকদের আমরা সর্বশেষ আপডেট জানানোর বিষয়ে চিন্তা করছি।