নবজাতক শিশুদের প্রায় সময়ই অনেক বেশি ঠান্ডা লাগে এবং যার প্রাথমিক কারণ হলো তাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা অত্যন্ত অপরিণত। শীতকালে নবজাতক শিশুর প্রায় সময়ই নানা ধরনের অসুখ-বিসুখ লেগেই থাকে। এই সময় একজন নবজাতক কয়েকটি সাধারণ অসুখে আক্রান্ত হতে পারে ,যেমন জ্বর ভাইরাস জ্বর, ঠান্ডা, কাশি, কানে সংক্রমণ ও ফ্লু ইত্যাদি।
নবজাতক শিশুর ঠান্ডা লাগার জন্য ২০০ টি ভাইরাস দায়ী, এর মধ্যে যেকোনো একটি দ্বারা সংক্রমিত হলেই শিশুর ঠান্ডা লাগতে পারে। তবে শিশুদের মধ্যে সাধারণ ঠান্ডা লাগার জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী হচ্ছে রাইনো ভাইরাস। সাধারণ ঠান্ডা নাক এবং গলাকে সংক্রমণিত করে থাকে।
যেহেতু ঠান্ডা হচ্ছে এক ধরনের সংক্রামক রোগ। ঠান্ডা বিভিন্ন কারণে ছড়াতে পারে তার মধ্যে অন্যতম হলো:-
১.)সাধারণত যদি কোন সংক্রমণিত ব্যক্তির কাশি হয়, সে কথা বলে এবং হাঁচি হয় সেই সময় তার ভাইরাস হাঁচি ,কাশি ,কথা বলার মাধ্যমে ছড়িয়ে যেতে পারে।
২.) যখন কোন সংক্রমিত ব্যক্তি আপনার সন্তানকে স্পর্শ করে সেই স্পর্শ করার মাধ্যমে আপনার বাচ্চার কাছে ভাইরাসটি পাস্ করে।
৩.) আপনার শিশু সংক্রমণিত খেলনা বা অন্য যে কোন পিষ্ঠ স্পর্শ করে ভাইরাস পেতে পারে ,কেননা এই ভাইরাস দুই ঘন্টা বা তার বেশি সময় ধরে থাকতে পারে।
নবজাতক শিশুর ঠান্ডা লাগলে কী করা উচিত:-
২. শীতে প্রায় সবারই ঠান্ডা-কাশি লেগে থাকে। ফলে আমাদের হাতে জীবাণু থাকে। তাই সবসময় হাত পরিষ্কার রাখুন। হাঁচি কাশি দেওয়ার সময় রুমাল ব্যবহার করুন।
৩. শিশু যেন ঠান্ডার সময় অনেক বেশি বিশ্রাম পায় সেদিকটা নিশ্চিত করতে হবে।
৪. সবসময় চেষ্টা করুন এবং আপনার শিশুকে কিছু অতিরিক্ত বার বুকের দুধ খেতে দিন।
৫. ভিটামিন সি যুক্ত ফল অথবা ফলের রসগুলো খেতে দিতে পারেন।
৬. নাকের ব্লক পরিস্কার করার জন্য লবণাক্ত নাসাল ড্রপ দেওয়া যেতে পারে।
৭. প্রবাহিত শ্লেষ্মা অপসারণ করার জন্য আপনার শিশুর নাক মুছে দিন এবং তার ত্বকের জ্বালা এড়ানোর জন্য নাকের চারপাশে ত্বক আদ্র করতে একটি হালকা পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করতে পারেন।