অনেকেই বলেন, মুড়ি খেলে রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। এমন ধারণা পুরোপুরি ভুল নয়। তবে মুড়ির গুণ অনেক বেশি। তা জেনে নেওয়া জরুরি। আগে অফিস থেকে ফিরে মুড়ি দিয়ে চানাচুর বা ছোলা-বাদাম ভাজা খাওয়াই দস্তুর ছিল।
শরীরের কথা ভেবে এখন অফিসে কাজের ফাঁকেও মুড়ি-বাদাম খাওয়া শুরু হয়েছে। আর যা-ই হোক, রাস্তার ভাজা, তেলমশলা দেওয়া খাবার খেয়ে অসুস্থ হওয়ার ভয় থাকলেও মুড়ি খেয়ে তেমনটা হবে না। মাইগ্রেনের মতো সমস্যায় কয়েক মুঠো মুড়ি চিবোলেও দারুণ কাজ করে। অনেকেই, মুড়ি খেলে রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। এমন ধারণা পুরোপুরি ভুল নয়। বেশির ভাগ মুড়িতেই ইউরিয়া থাকে। তা সত্ত্বেও মুড়ির গুণ কিন্তু অস্বীকার করা যায় না।
মুড়ি খেলে শরীরের কী কী উপকার হতে পারে?
১) ক্যালোরির পরিমাণ কম: মুড়িতে ক্যালোরির পরিমাণ অত্যন্ত কম। খিদের মুখে অনেকটা মুড়ি খেয়ে ফেললেও ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই। ক্যালোরির কম, তাই ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয় থাকে না।
২) শর্করার মাত্রা ঠিক রাখে: চাল থেকেই মুড়ি তৈরি হয়। মুড়িতে যে ধরনের কার্বোহাইড্রেট থাকে, তা রক্তে শর্করার মাত্রার উপর কোনও প্রভাব ফেলে না। বার বার খিদে পাওয়ার প্রবণতাও রুখে দিতে পারে এই মুড়ি।
৩) ফাইবারের পরিমাণ বেশি: মুড়িতে ফাইবারের পরিমাণ বেশি। তাই হজমের সমস্যা থাকলে চোখ বন্ধ করে মুড়ি খেতে পারেন। পাশাপাশি, অন্ত্র ভাল রাখতেও সাহায্য করে এই খাবার। কোষ্ঠকাঠিন্যে দূর করতেও সাহায্য করে এই ফাইবার।
৪) বিপাকহার ভাল হয়: মুড়িতে যে ধরনের কার্বোহাইড্রেট রয়েছে, তা বিপাকহার উন্নত করতে সাহায্য করে। বিপাকহারের সঙ্গে জড়িত নানা রকম রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং ওজন কমাতেও সাহায্য করে মুড়ি।
৫) পুষ্টিগুণ শোষণে সাহায্য করে: প্রয়োজনীয় বিভিন্ন ভিটামিন এবং খনিজের গুণে ভরপুর মুড়ি। যথেষ্ট পরিমাণে ভিটামিন বি, ম্যাগনেশিয়াম এবং জ়িঙ্ক রয়েছে মুড়িতে। শারীরবৃত্তীয় নানা কাজে সাহায্য করে এই খনিজগুলি। পাশাপাশি, বিপাকহারের মানও ভাল রাখতে সাহায্য করে।