শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে সচল রাখতে জলের গুরুত্ব কারও অজানা নয়। কেবল গরমকালেই নয়, ডিহাইড্রেশনে ঝুঁকি কমাতে সারা বছরই বেশি করে জল খেতে হবে। ওজন কমতেও পারে জলের গুণে।
ওয়াটার থেরাপি করেই জাপানিরা ওজন ঝরান! জাপানিরা দীর্ঘকাল ধরেই রোগা হওয়ার দাওয়াই হিসাবে এই জলের টোটকা ব্যবহার করে আসছেন। তবে শুধু ওজন ঝরাতেই নয়, শরীর চাঙ্গা রাখতেও জাপানিরা এই থেরাপি মেনে চলেন। বেশি জল খেলে মাইগ্রেনের সমস্যা কমে। বিপাকহার বৃদ্ধি করতে ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতেও এই থেরাপি বেশ কার্যকর। শীতকালে জলের অভাবে ত্বক শুষ্ক দেখায়। জল বেশি করে খেলে ত্বকের শুষ্কতা দূর হয়, জেল্লা বাড়ে।
কী ভাবে করবেন ওয়াটার থেরাপি?
১) ঘুম থেকে উঠেই খালি পেটে চার থেকে পাঁচ গ্লাস জল খেতে হবে। শরীরে জমে থাকা টক্সিন দূর করতে সাহায্য করবে এই অভ্যাস।
২) দাঁত ব্রাশ করার আগেই জল খেয়ে নিতে হবে। জল খাওয়ার ৪৫ মিনিটের মধ্যে কিছুই খাওয়া যাবে না। ৪৫ মিনিট পর প্রাতরাশ করতে পারেন।
৩) দিনের যে কোনও খাবার ১৫ মিনিটের বেশি সময় ধরে খাওয়া যাবে না। এক বার খাবার খাওয়ার পর কোনও ভাবেই দু’ঘণ্টা জল বা অন্য কোনও খাবার খাওয়া চলবে না।
৪) শারীরিক কোনও সমস্যা থাকলে বা বার্ধক্যজনিত কারণে হঠাৎ সকালে অনেকেই হয়তো চার গ্লাস জল এক বারে খেতে পারবেন না। সে ক্ষেত্রে আস্তে আস্তে জলের পরিমাণ বাড়ান। প্রথমে শুরু করুন সকালবেলা বাসি মুখে এক গ্লাস জল দিয়ে।
৫) এই থেরাপি চলার সময়ে জল হোক বা অন্য কোনও খাবার— কখনওই দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে খাবেন না।