কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে ছবিতে মহিলাদের নগ্ন করার অ্যাপ এবং ওয়েবসাইটের জনপ্রিয়তা দিন দিন বেড়ে চলেছে। গ্রাফিকা নামে আমেরিকার একটি সমাজমাধ্যম বিশ্লেষণ সংস্থার প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, এ বছর সেপ্টেম্বর মাসে প্রায় ২ কোটি ৪০ লক্ষ মানুষ এমন ওয়েবসাইট ও অ্যাপ ব্যবহার করেছেন, যেগুলিতে মহিলাদের ছবি আপলোড করলেই তাঁদের পোশাকহীন ছবি সামনে চলে আসে।
এআইয়ের অপব্যবহার করে এই ধরনের অশ্লীল পরিষেবাগুলি বিপণনের জন্য জনপ্রিয় সামাজিক নেটওয়ার্কগুলি ব্যবহার করছে। এ বছরের শুরু থেকে এক্স ও রেডইটের মতো প্ল্যাটফর্মে এই ধরনের ওয়েবসাইটগুলির বিজ্ঞাপন আগের তুলনায় প্রায় ২,৪০০ শতাংশ বেড়েছে। এই ওয়েবসাইটগুলিতে মূলত কোনও মহিলার ছবি আপলোড করলে তাঁদের ডিজিটালি নগ্ন করা হয়। মহিলাদের ছবিগুলি মূলত সংগ্রহ করা হয় সমাজমাধ্যম থেকেই। মহিলাদের অজান্তেই তাঁদের ছবির অপব্যবহার করা হচ্ছে। এই অ্যাপগুলির প্রতি আকর্ষিত হচ্ছে স্কুল-কলেজের ছাত্ররাও।
এ ধরনের ওয়েবসাইটগুলির বিজ্ঞাপন নিয়ে ইতিমধ্যেই নানা মহলে চর্চা শুরু হয়েছে। বিজ্ঞাপনগুলিতে বলা হয় গ্রাহকেরা চাইলে যে কোনও ছবিকেই নগ্ন করতে পারেন তাদের ওয়েবসাইটে। গুগ্ল ইতিমধ্যেই এ ধরনের অ্যাপ বা ওয়েবসাইটের বিজ্ঞাপন প্রদর্শন বন্ধ করে দিয়েছে। তবে এক্স ও রেডইটে এখনও রমরমিয়ে দেখানো হয় এই ওয়েবসাইটগুলির বিজ্ঞাপন। এই ধরনের ওয়েবসাইট ও অ্যাপগুলি মহিলাদের নিরাপত্তার উপর প্রশ্ন তুলছে। অনেক মহিলার অজান্তেই তাঁদের ছবি ব্যবহার করা হচ্ছে। যাঁদের মুখ ব্যবহার করে ডিপফেক ছবি বা ভিডিয়ো বানানো হচ্ছে, তাঁদের অনেকেই এর বিরুদ্ধে আইন আনার জন্য দাবি তুলেছে।
এই পরিস্থিতি সামাল দিতে টিকটক, মেটার মতো প্ল্যাটফর্মগুলি ইতিমধ্যেই এই ধরনের অ্যাপের সঙ্গে সম্পর্কিত বিভিন্ন কিওয়ার্ডগুলিকে ব্লক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কোনও ব্যবহারকারী যদি এই ধরনের কিছু সার্চ করেন, তা হলে তাঁর অ্যাকাউন্ট ব্লক করে দেওয়া হতে পারে।