বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় শস্যগুলির মধ্যে একটি হল ভুট্টা। বিভিন্ন ধরনের ভুট্টা পাওয়া যায়। এটি খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি পুষ্টিগুণেও ভরপুর। আজকাল প্রায় সারা বছরই ভুট্টা পাওয়া যায়। তবে শীতকালে ভুট্টা খাওয়ার মজাই আলাদা। বিশেষ করে কয়লার আগুনে শেঁকা ভুট্টা খেতে বেশ লাগে।
হজমে উপকারী: ভুট্টাতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে যা হজমের জন্য অত্যান্ত উপকারী। এটি পরিপাকতন্ত্রের জন্য উপকারী। যাদের কোষ্ঠ্যকাঠিন্য রয়েছে তাদের জন্য ভুট্টা একটি উপকারী খাবার। পেটের সমস্যা সমাধানেও এটি উপকারী।
ভুট্টা হৃৎপিণ্ডের জন্য উপকারী। এটি হৃৎপিণ্ডকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে। ভুট্টায় থাকা দ্রবণীয় ফাইবার কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ: রক্তে যদি শর্করার পরিমাণ বেশি থাকে তাহলে তা কমানোর জন্য ভুট্টা খুবই উপকারী। টাইপ-২ ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ভুট্টা খুবই উপকারী বলেও দাবি করেছেন গবেষকরা। ফাইবার, কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন এবং ভিটামিন সমৃদ্ধ ভুট্টা ডায়াবেটিসের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে।
ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়: ভুট্টায় উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কোষকে ক্ষতির হাত থেকে বাঁচাতে সাহায্য করে। এই প্রক্রিয়া ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে ভূমিকা রাখে। ভুট্টায় ক্যারোটিনয়েডও রয়েছে, যার ক্যান্সার প্রতিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
চোখের জন্য উপকারী: ভুট্টায় প্রচুর পরিমাণে লুটেইন এবং জেক্সানথিন থাকে। এই দুটি ক্যারোটিনয়েডই চোখের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এই দুটি উপাদান চোখকে বয়স-সম্পর্কিত ম্যাকুলার ডিজেনারেশন থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করতে পারে, যা বয়স্কদের মধ্যে অন্ধত্বের একটি প্রধান কারণ।
ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী করে: ভুট্টা ভিটামিন সি এর একটি ভালো উৎস। এটি ইমিউন সিস্টেমের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ভিটামিন সি শরীরকে সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে এবং ক্ষত সারাতে সাহায্য করে।