বয়স বাড়লে চুলে পাক ধরে। তবে অনেকের বয়সের আগেই চুল পেকে যায়। মূলত অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন এক্ষেত্রে বেশি দায়ী। বিভিন্ন ভিটামিনের অভাবে চুল ধীরে ধীরে সাদা হতে থাকে। বিভিন্ন গবেষণায়ও এমনটাই উঠে এসেছে। চুলের অকালপক্কতা রোধে ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট ব্যবহার করার পরামর্শ দেন অনেক চিকিৎসক।
মাথার চুল পেকে যাওয়ার সমস্যা রয়েছে অনেকেরই। খাওয়া-দাওয়ার সঙ্গে চুলের সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে। অসময়ে চুল পেকে যাওয়া থামানো যেতে পারে। এজন্য প্রয়োজন খাওয়া-দাওয়া ও দৈনন্দিন জীবন-যাপনে শৃঙ্খলা।
কী কী কারণে অসময়ে চুলে পাক ধরতে পারে, কোন ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ করলে প্রিম্যাচিওর হেয়ার গ্রেয়িং রুখে দিতে পারেন আসুন জেনে নেই-
নানা কারণেই অকালপক্কতার শিকার হতে পারেন আপনি।
- প্রয়োজনীয় ভিটামিনের অভাবে
- জিনগত কারণে
- হরমোনের তারতম্য হলে
- কোনও শারীরিক অসুস্থতাও এর জন্যে দায়ী হতে পারে।
কোন ভিটামিনের অভাবে চুল অকালে পেকে যায়?
ভিটামিনের অভাবে অকালেই আপনার চুল পেকে যেতে পারে। ভিটামিন বি১২, ডি৩, ই, বায়োটিন অর্থাৎ ভিটামিন বি৭-এর অভাবে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। এছাড়া কপার, আয়রন এবং জিংকের অভাবেও চুল অকালে পেকে যায়। ন্যাশনাল লাইব্রেরি অফ মেডিসিনে প্রকাশিত এক গবেষণায় এমনটা বলা হয়েছে। ২০১৬ সালের এক গবেষণায় জানা গেছে, ভিটামিন ১২ এর অভাব হলে ২৫ বছরের কম বয়সীদেরও চুল পেকে যেতে পারে।
কোন খাবার খাবেন?
শরীরে নির্দিষ্ট ভিটামিনগুলোর অভাবের কারণে চুল পেকে গেলে সেই সমস্যা সমাধানে সচেতন হতে হবে। অসময়ে চুলে পাক ধরলে চিকিৎসকের সঙ্গে আলোচনা করুন। রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে জেনে নিন শরীরে সব ভিটামিনের মাত্রা ঠিক রয়েছে কি না। গবেষণায় দেখা গেছে, চুলের অকালপক্কতার পেছনে ভিটামিন ডি দায়ী হতে পারে। তাই ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার নিয়মিত খেতে হবে। ডিম, মাশরুম, মাছ, দুধ খাবেন। প্রতিদিন মিনিট বিশেক সূর্যালোক গায়ে মাখবেন। ভিটামিন বি১২ যুক্ত খাবার খাবেন। এতেও চুল ভালো থাকে। মাংস, ডিম, দুধ এবং মাছে প্রচুর ভিটামিন বি১২ পাওয়া যায়।
ভিটামিন বি৯ বা ফোলেট চুলের প্রাকৃতিক রং ধরে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। প্রতিদিনের তালিকায় ফোলেট সমৃদ্ধ খাবার যোগ করুন। বিন, সবুজ শুঁটি, শাক-সবজি, সাইট্রাস ফল নিয়মিত খান। ভিটামিন বি৫ যুক্ত খাবার যেমন সবুজ শাক-সবজি, মাশরুম, ইয়োগার্ট, ডিম, বিন, মাছ এবং মাংস ইত্যাদিও নিয়মিত খাবেন। চুলের অকালপক্কতা রোধ করতে এসব ভিটামিন কার্যকরী।