এই যে আমরা নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানালাম আমার বন্ধুদের, আমি হয়তো জানিই না যে হয়তো সেটা করে দিয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। গত বছর প্রযুক্তির দুনিয়ায় আলোড়ন তুলেছিল এর ব্যবহার। বলা হচ্ছে, ভবিষ্যতে এটি ছড়িয়ে পড়তে পারে সব ক্ষেত্রে। সেটা অনেকখানিই সত্য। কী আসছে এ বছর?
ভার্চুয়াল রিয়েলিটি: ভার্চুয়াল রিয়েলিটি বা কৃত্রিম বাস্তবতা এরই মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে ব্যাপকভাবে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভার্চুয়াল রিয়েলিটির প্রযুক্তির প্রসার ঘটেছে। তবে এ বছর ভার্চুয়াল রিয়েলিটির মাধ্যমে পুরো কৃত্রিম জগৎ গড়ে উঠতে পারে এবং ডিজিটাল কনভারজেন্সের প্রসার ঘটতে পারে। ডিজিটাল কনভারজেন্স হলো বিভিন্ন প্রকার ডিজিটাল ডিভাইসের একত্রীকরণ। ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ডিজিটাল টুইন আকারে বাজারে আসতে পারে এ বছর। গড়ে উঠতে পারে একটি সম্পূর্ণ শহর বা এমনকি একটি বাস্তুতন্ত্রের মতো জটিল বস্তুও। এ বছর বাস্তব জগৎ ও ভার্চুয়াল জগতের মধ্যে মিথস্ক্রিয়া দেখা যাবে। এর মানে হলো ডিজিটাল জগৎ ক্রমেই বাস্তবসম্মত হয়ে উঠবে।
জেনারেটিভ এআই: এ বছর জেনারেটিভ এআই ব্যাপক পরিবর্তন, আনবে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা। জেনারেটিভ এআই হলো মেশিন লার্নিং মডেলের একটি ধরন। এটি নিজে থেকে ভাবতে পারে না এবং এর কোনো আবেগ-অনুভূতি নেই। শুধু বিভিন্ন প্যাটার্ন খুঁজে দেবে জেনারেটিভ এআই। অতীতে এআইকে তথ্য বুঝতে ও বিভিন্ন বিষয় খুঁজতে ব্যবহার করা হতো। এখন এটি ছবি, সংগীত কিংবা কোড তৈরির মতো নতুন কনটেন্ট তৈরি করতেও আমাদের সাহায্য করে। জেনারেটিভ এআই সার্চ ইঞ্জিন থেকে শুরু করে অফিস সফটওয়্যার, ডিজাইন প্যাকেজ এবং যোগাযোগের টুলসসহ নানান বিষয়ে আমাদের কাজ সহজ করবে; অনেকটা ব্যক্তিগত সহকারীর মতো।
বায়োপ্রিন্টিং: বায়োপ্রিন্টিং হলো এমন একটি প্রযুক্তি, যেখানে বায়োইঙ্ক ও বায়োম্যাটেরিয়াল কোষের সঙ্গে মিশ্রিত করে থ্রিডি প্রিন্ট করা হয়। জীবন্ত টিস্যু মডেল তৈরিতে এটি ব্যবহার করা হয়। মানবদেহের অঙ্গ প্রতিস্থাপনসহ অন্যান্য চিকিৎসাসেবা, টিস্যু প্রতিস্থাপনের কাজে ব্যবহৃত হয় বায়োপ্রিন্টিং। এ বছর এই প্রযুক্তিতে ব্যাপক পরিবর্তন দেখতে পাচ্ছে বিশ্ব। জটিল কাঠামো এবং অঙ্গ প্রিন্ট করা যাবে এই প্রযুক্তিতে। ব্রেন-কম্পিউটার ইন্টারফেসবিসিআইএস বা ব্রেন-কম্পিউটার ইন্টারফেস হলো মস্তিষ্ক ও ডিভাইসের মধ্যে সরাসরি যোগাযোগ। এই প্রযুক্তি চিকিৎসাক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে চলেছে। এর মাধ্যমে স্নায়বিক রোগ ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের চিকিৎসা করা আরও সহজ হয়ে উঠবে। এটি মানব-মেশিন ইন্টারফেস হিসেবে কাজ করে। শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গের নড়াচড়া, মস্তিষ্কের সংকেত ও কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণ করে। এ বছর এই প্রযুক্তি আরও উন্নত হয়ে বাজারে আসবে।
কোয়ান্টাম কম্পিউটিং: প্রথাগত কম্পিউটারের চেয়ে বহুগুণ শক্তিশালী কোয়ান্টাম কম্পিউটার এ বছর বেশ চমক দেখাতে পারে। জিনোম সিকোয়েন্সিং, ক্রিপ্টোগ্রাফি, আবহাওয়াবিদ্যা, বস্তুবিজ্ঞান, জটিল সিস্টেমের অপটিমাইজেশন, যেমন ট্রাফিক ব্যবস্থাসহ জটিল কাজগুলোতে কোয়ান্টাম কম্পিউটারের ব্যবহার বাড়তে পারে এ বছর। এমনকি পৃথিবীর বাইরে প্রাণের অস্তিত্ব খুঁজতেও সুবিধা দিতে পারে এই প্রযুক্তি। আবার বিজ্ঞানীরা নতুন নতুন ওষুধ তৈরির কাজ করতে পারেন কোয়ান্টাম কম্পিউটারে। এ বছর কোয়ান্টাম কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার আরও উন্নত হবে বলে ধারণা করছেন প্রযুক্তিবিদেরা।
জেনারেটিভ এআই: এ বছর জেনারেটিভ এআই ব্যাপক পরিবর্তন আনবে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা। জেনারেটিভ এআই হলো মেশিন লার্নিং মডেলের একটি ধরন। এটি নিজে থেকে ভাবতে পারে না এবং এর কোনো আবেগ-অনুভূতি নেই। শুধু বিভিন্ন প্যাটার্ন খুঁজে দেবে জেনারেটিভ এআই। অতীতে এআইকে তথ্য বুঝতে ও বিভিন্ন বিষয় খুঁজতে ব্যবহার করা হতো। এখন এটি ছবি, সংগীত কিংবা কোড তৈরির মতো নতুন কনটেন্ট তৈরি করতেও আমাদের সাহায্য করে। জেনারেটিভ এআই সার্চ ইঞ্জিন থেকে শুরু করে অফিস সফটওয়্যার, ডিজাইন প্যাকেজ এবং যোগাযোগের টুলসসহ নানান বিষয়ে আমাদের কাজ সহজ করবে; অনেকটা ব্যক্তিগত সহকারীর মতো।