শীতের সময়টাতে খেজুর গুড়ের তৈরির নানা ধরনের পিঠা পায়েস খাওয়ার ধুম পড়ে যায়। গ্রামে তো বটেই, শহরেও চলে এই পিঠা খাওয়ার আয়োজন। তাই শীতকাল চলে গেছে বলে কি আপনাদের গুড় খাওয়া বন্ধ হয়ে যাবে? সেটা করা যাবে না অন্তত নিজেকে সুস্থ্য রাখতে প্রতিদিন গুড় খাওয়ার অভ্যাস করুন । চিনির চেয়ে অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর হচ্ছে খেজুরের গুড়। আমাদের সবাইকেই সুস্থ্যভাবে ‘বাঁচতে হলে জানতে হবে’ গুড় খাওয়ার উপকারিতা।
আপনি কি জানেন, নিয়মিত ১ চামচ খেজুর গুড় খেলে শরীরে কেমন পরিবর্তন আসে? পুষ্টিবিদরা বলছেন, চিনির চেয়ে গুড় খাওয়া অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর। আর নানা ধরনের গুড়ের মধ্যে খেজুর গুড়ের পুষ্টি অনেক বেশিই বলা যায়। চলুন জেনে নেই এই সস্তা গুড়ের অনবদ্য সব গুণ-
খেজুর গুড় ওজন কমাতে দারুণ কাজ করে। যাদের হজমের সমস্যা রয়েছে, তারা নিয়মিত ডায়েটে রাখতে পারেন এক চামচ খেজুর গুড়।
খেজুরের গুড় যেহেতু শরীর ঠাণ্ডা রাখে, সেহেতু আপনা থেকেই শ্বাসকষ্টে মিলবে স্বস্তি । অ্যাজমা, ব্রঙ্কাইটিসের মতো অসুখে ভোগেন তারা রোজ গুড় খেলে উপকার পাবেন।
খেজুর গুড় কোল্ড অ্যালার্জি থেকে অনেকটাই আপনাকে দূরে রাখে। রক্তাল্পতায় ভুগলেও খেতে পারেন খেজুর গুড়। কারণ, এই গুড় শরীরে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়ায়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও খেতে পারেন এই গুড়।
খেজুরের গুড় নিয়মিত খেলে শরীরের রক্ত পরিষ্কার করে, শ্বাসকষ্ট কমিয়ে, মেদ গলিয়ে শরীরকে ঝরঝরে রাখে।যার ফলে, কর্মক্ষমতা যেমন বাড়ে, তেমনই ক্লান্তিও কমে বহুগুণ ।
কাবোহাইড্রেট, আয়রন কিংবা গ্লুকোজের ঘাটতি হলেও খেজুরের গুড় শরীরে ভালো কাজ করে। গুড়ে থাকা প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট কাজে লাগাতে পারেন সৌন্দর্য বৃদ্ধিতেও। কেননা, এই গুড় ত্বক সতেজ রাখে, পাশাপাশি ব্রণ হওয়ার প্রবণতা কমায়।
শীতে শরীর গরম রাখতে কিংবা সর্দি-কাশি ও জ্বরের মতো রোগ থেকেও নিজেকে দূরে রাখতে খেতে পারেন খেজুরের গুড়। খেজুরের গুড়ে সোডিয়াম আর পটাসিয়াম থাকে, যার ফলে ব্লাড প্রেসারের ভারসাম্য বজায় রাখে সাহায্য করে ।
খেজুরের গুড় খেলে শুধু লিভারই নয়, তার পাশাপাশি অন্ত্র, ফুসফুস এবং শরীরের অভ্যন্তরের অনেক যন্ত্রই পরিষ্কার রাখে সাহায্য করে । খেজুরের গুড় হিমোগ্লেবিনের সংখ্যা বাড়ায়! ফলে, রক্তাসল্পতা রোধে এর বিকল্প নেই বললেই চলে ।
খেজুরের গুড় শরীরের মিনারেলের ঘাটতি পূরণ করে বহু গুন । ১০-১২ গ্রাম গুড় প্রায় ১৬ মিলিগ্রাম মিনারেলের জোগান দেয়। খেজুরের গুড় সারা শরীর তো ঠাণ্ডা করে তো বটেই, সেই সাথে বিশেষ করে স্টমাক ঠাণ্ডা রাখে। ফলে, কর্মক্ষমতা বাড়ে বহু গুন ।