গত সপ্তাহে বরিশাল থেকে ফেরার পথে রাস্তার পাশে একটি ফলের দোকানের ফল খেয়ে সন্তান ও পরিবারসহ অসুস্থ হয়ে পড়েন চিত্রনায়িকা পরীমণি। এরপর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ছেলে পদ্ম ও তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন। জানিয়েছিলেন, অসুস্থ অন্যরা খানিক সুস্থ হলেও পদ্মর শরীর ক্রমাগত খারাপ হচ্ছিল।
পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য একমাত্র সন্তানকে নিয়ে ভারতে গেছেন পরী। বুধবার রাতে কলকাতায় পৌঁছান পরীমণি। বৃহস্পতিবার রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট করেন, যা ঘিরে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে তার ভক্তদের কপালে।
পোস্টে অভিনেত্রী লেখেন, ‘জীবনে আগে কখনো এতটা অসহায় অনুভব করিনি। আল্লাহ সহায়।’ কলকাতার অ্যাপোলো হাসপাতাল থেকে তিনি এই পোস্ট দেন।
এই পোস্টে ভক্তদের আর বুঝতে বাকি নেই, প্রিয় নায়িকা সত্যিই বড় বিপদে আছেন। পোস্টে অনেকেই কমেন্ট করে দোয়া করেছেন।
এর আগে গত ১৭ জানুয়ারি সন্ধ্যায় পরীমনি ও তার ছেলে পদ্মর কয়েকটি ছবি পোস্ট করে দীর্ঘ এক পোস্ট দেন নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী।
পোস্টে তিনি লেখেন— ‘হাসপাতালে টানা সাত দিন থাকার পর ছেলের চিকিৎসার জন্য কলকাতার পথে পরীমনি। পদ্ম খুবই অসুস্থ। তার ২টা ভাইরাস ধরা পড়েছে। পরীও পুরোপুরি সুস্থ না। কিন্তু কিছুই করার নেই। আপনারা সবাই পদ্ম ও পরীর জন্য দোয়া করবেন। যেন আমাদের আদরের সন্তানটা সুস্থ হয়ে ফিরে আসে। পদ্ম খুব কষ্ট পাচ্ছিল।’
তিনি আরও লেখেন, ‘ইন্ডিয়ান ভিসা থাকলে সত্যি তোমার আর পদ্মর পথের সঙ্গী হতাম, আমাকে বলতে হতো না। তুমি তা জানো। আমি জানি, আমি সঙ্গে গেলে তোমার অনেক রিলিফ লাগত। তোমাকেও এভাবে ছেড়ে দিতে আমার ভালো লাগেনি। অনেক কান্না পাচ্ছে তোমাদের এয়ারপোর্টে বিদায় দেওয়ার সময়।’