সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের আজ ২০তম জন্মদিন। ২০০৪ সালের এই দিনে (৪ ফেব্রুয়ারি) মার্ক জাকারবার্গের হাত ধরে যাত্রা শুরু হয় বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের। হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের অনলাইনে একত্রীকরণের পরিকল্পনা থেকে ‘দ্য ফেসবুক’ নাম নিয়ে শুরু হয় ফেসবুকের যাত্রা।
প্রথম আইফোন বাজারে আসার এক বছর আগে ২০০৬ সালে প্রথম প্রজন্মের স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের জন্য একটি মোবাইল সাইট চালু করে ফেসবুক। ওই বছরের ২৬ মার্চ প্রথমবারের মতো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বাইরে অন্যান্যদেরও ফেসবুকে সাইন আপের অনুমতি দেয়া হয়। করপোরেট ই-মেইল দিয়ে ১৮ বছরের বেশি বয়সীদের যে কাউকে সামাজিক মাধ্যমটি ব্যবহারের সুযোগ দেয়া হয়।
২০১২ সালের এপ্রিলে ১ বিলিয়ন ডলারে ফটো শেয়ারিং অ্যাপ ইনস্টাগ্রাম কিনে নেয় ফেসবুক। সে সময়ে জাকারবার্গ বলেছিলেন, তিনি ফটো-শেয়ারিং অ্যাপটি কিনেছেন কারণ এটি ফেসবুকের ভবিষ্যতের জন্য ‘হুমকিস্বরূপ’ ছিল। ইনস্টাগ্রাম অধিগ্রহণের দুই বছর পর হোয়াইসঅ্যাপ কিনে নেয় ফেসবুক। পরে ২০১৬ সালে যোগ করা হয় ফেসবুক লাইভ ফিচার ও ২০১৭ সালে ইনস্টাগ্রামের সঙ্গে সাদৃশ্য রেখে যোগ করা ‘স্টোরি’ ফিচার।
করোনা মহামারি সময় যখন সারা বিশ্বের মানুষ তাদের প্রিয়জনের থেকে দূরে থাকতে বাধ্য হচ্ছিলেন, ঠিক তখন ২০২১ সালে ফেসবুক ইনকর্পোরেটেডকে মেটায় রূপান্তরের ঘোষণা দেন মার্ক জাকারবার্গ। যার আওতাধীন চলবে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ এবং কোম্পানিটির অধীনে থাকা অন্যান্য সম্পদ। পরে ইলন মাস্কের টুইটারকে টেক্কা দিকে ২০২৩ সালের ৫ জুলাই থ্রেডস বাজারে আনেন মার্ক জাকারবার্গ।
ফেসবুক সমগ্র বিশ্বের ব্যবহারকারীদের প্রায় ৩০০ পেটাবাইট তথ্য ধারন করে আছে।আর এক পেটাবাইট হচ্ছে এক মিলিয়ন গিগাবাইটের সমান। সমগ্র বিশ্বের মুঠোফোন প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবসা বৃদ্ধি ও প্রচারে সাহায্য করে ফেসবুক। ফেসবুকের শুভ জন্মদিনে এটুকুই আশা করা যেতেই পারে যোগাযোগের বিশাল এই প্ল্যাটফর্মটি আরো এগিয়ে যাক।