বয়স প্রতিদিন বাড়েলেও, সবাই নিজেকে তরুণ দেখতে চায়। বয়স বাড়লেও মনে থাকুক আঠারোর রঙিন ছোঁয়া! এটাই যে চিরতরুণ হয়ে ওঠার অন্যতম রহস্য, তাতে কোনও সন্দেহ নেই। তবে এই কথাটি শুধু জীবনধারণের সময়ে মনে রাখলেই চলবে না, স্টাইলিংয়ের ক্ষেত্রেও একই মিয়ম মেনে চলতে হবে অক্ষরে অক্ষরে।
আপনার লাইফস্টাইল কেমন হওয়া উচিত সেই সম্পর্কে জানার ইচ্ছেও নিশ্চয়ই আপনার রয়েছে। আপনাকে জানিয়ে রাখি, এমন কিছু ফ্যাশন ট্রিকস রয়েছে, যেগুলি মেনে চললে আপনাকে মনে হবে অল্পবয়সী তরুণী। স্টাইলের পাঁচটি কারণ ফলো করলে ম্যাজিক হবে নিমেষে!
স্বাচ্ছন্দ্যেময় পোশাক: স্টাইলিং করার জন্যে এমন পোশাক পরবেন না, যা আপনার অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়াবে। তাতে আপনার বয়স তো কম লাগবেই না, উল্টে আপনাকে সবার সামনে লজ্জায় পড়তে হবে। তাই আপনি ঠিক যেমন ধরনের পোশাকে কম্ফোর্টেবল, তেমন আউটফিটেই নজর কাড়ুন। সেরকম পোশাকেই দিন আধুনিক ছোঁয়া আর হয়ে উঠুন অনন্যা।
স্বাস্থ্যকর খাবার এবং পর্যাপ্ত ঘুম জরুরি: ত্বক ভালো রাখার জন্যে নিজের জীবনশৈলীর দিকেও নজর দেওয়া উচিত। তাই প্রতিদিন স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া প্রয়োজন। অস্বাস্থ্যকর জাঙ্কফুড এবং প্রসসেড খাবার এড়িয়ে চলুন। শাক-সবজি খান। ফল থাক আপনার দৈনিক ডায়েটে।
নিউট্রাল কালার: নিউট্রাল রঙে ভরসা রাখুন অনেকেই মনে করেন, বয়স কম দেখানোর জন্যে বোধহয় খুব উজ্জ্বল রঙের পোশাক পরা উচিত! তবে এই ধারণা একেবারেই ঠিক নয়। ফ্যাশন বিশেষজ্ঞদের মতে, অল্পবয়সী লুকের জন্যে চড়া রঙের পোশাক পরার কোনও প্রয়োজন নেই। বরং সময় বিশেষে নিউট্রাল রং বেছে নিলেই খেলা ঘুরে যাবে। তাই অফিসের ড্রেসের রং বেছে নেওয়ার সময় যেমন এই টিপসটি মাথায় রাখুন, তেমনই ওয়েস্টার্ন ড্রেস কেনার সময়ও বেছে নিতে পারেন এমন ধরনের রং।
চুলের যত্ন নিন: আপনার চুল আপনার ব্যক্তিত্বে খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অতএব, পরিষ্কার এবং ঝকঝকে চুল দিয়ে আপনি তরুণ দেখতে পারেন।
হাসির ব্যবহার করুন: প্রতিটি পরিস্থিতিতে আপনার মুখে একটি প্রশস্ত হাসি আপনাকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলে, এটি আপনার আরও চিত্তাকর্ষক মুখ উপস্থাপন করে।
উপযুক্ত পোশাক: বয়স বাড়লেই যে ঢিলেঢালা পোশাক পরতে হবে, এমন কোনও অর্থ নেই। তবে ভুলেও যেন খুব টাইট আউটফিট পরবেন না। তাতেও আপনার অস্বস্তি বাড়বে। তাই পোশাক পরতে হবে সঠিক ফিটিংসের, যা খুব টাইটও নয় আবার অত্যন্ত ঢিলেও নয়। কম্ফোর্ট ফিটের আউটফিট পরে আপনাকে দেখতে তো সুন্দর লাগবেই, সেই সঙ্গে এই ধরনের পোশাক আপনার ফিগারকেও কমপ্লিমেন্ট দেবে আর আপনার ওয়েস্টলাইনকেও হাইলাইট করবে।
ত্বকের যত্ন: সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মির প্রভাবে ত্বকের ক্ষতি হয়। UV রশ্মি ত্বকের জন্যে খুবই ক্ষতিকারক। ফটোএজিংয়ের জন্যে দায়ী। তাই রোদে বেরনোর আগে অবশ্য়ই সানস্ক্রিন লাগান। সানস্ক্রিন লোশন না লাগিয়ে বাইরে পা রাখবেন না। মেঘলা দিনেও সানস্ক্রিন লাগান। এসপিএফ ৩০ লোশন বেছে নিন। আমেরিকান অ্যাকাডেমি অফ ডার্মাটোলজির তথ্য অনুযায়ী, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের ত্বক আরও রুক্ষ এবং শুষ্ক হয়ে ওঠে। মুখে বলিরেখা প্রকট হয়। ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে ময়শ্চারাইজার। আপনার ত্বককে আরও বেশি জেল্লাদার করে তোলে। তাই প্রতিদিন ফেসিয়াল ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করুন। শরীরের অন্যান্য অংশেও ময়শ্চারাইজার লাগাতে ভুলবেন না।
জুয়েলারির ব্যবহার: অতিরিক্ত গয়না পরবেন না কোনও লুক ক্রিয়েট করার সময়ে অতিরিক্ত গয়না ভুলেও পরবেন না, কারণ এমন বাড়তি অ্যাকসেসরিজ ক্যারি করার কোনও প্রয়োজনই নেই। এতে আপনার সাজটাই নষ্ট হবে। বরং কোনও পোশাক পরে তার সঙ্গে মানানসই হালকা জুয়েলারি ক্যারি করুন। এতে আপনার লুকে একটি স্পষ্ট বার্তা থাকবে আর আপনাকে দেখতেও লাগবে খুব সুন্দর।