Uncategorized

নিরাপদ আবাসনের বিশ্বস্ত নাম ‘স্বপ্নভূমি’

মনিরুল ইসলাম

এক টুকরো জমির উপরে নিজের বাড়ি- এমন স্বপ্ন হৃদয়ে পুষে রাখেন সবাই। কিন্তু নানা ছলচাতুরি ও মিথ্যার ফুলঝুড়ির এই সময়ে এমন স্বপ্নই কারো রূপ নেয় দুঃস্বপ্নে। তবে মিথ্যার বেসাতির ভীড়েও কিছু কিছু আবাসন প্রকল্প ইতোমধ্যেই নিরাপদ আবাসনে অর্জন করেছে মানুষের আস্থা। তেমনই একটি প্রতিষ্ঠান ভূমি প্রপার্টিজের আবাসন প্রকল্প স্বপ্নভূমি।
শিল্প-শহর নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার দাউদপুর ইউনিয়নেই রয়েছে স্বপ্নভূমি আবাসন প্রকল্প। রাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোড থেকে সময়ের দুরত্ব মাত্র ২০ মিনিট। এখানেই মিলবে প্রকৃতির শুদ্ধ বাতাস আর এশিয়ার সবচেয়ে বড় ১৪ লেনের পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ে। শুধু তাই-ই নয় নগর বিকেন্দ্রীকরণে দাউদপুর ইউনিয়নই হয়ে উঠবে রাজধানীর অন্যতম নগরী।
স্বপ্নভূমির যাত্রাটা শুরু খুব বেশিদিনের না। ২০১৯ সালে পথচলা শুরু করেও এতো কম সময়েও প্রকল্পটি এখন দৃশ্যমান। সবুজে ঘেরা এই প্রকল্পটির আকার ২০০ বিঘারও বেশি। ইতোমধ্যেই প্লট বুঝে পেয়েছেন অর্ধশত ক্রেতা। পেয়েছেন সাব-কবলা রেজিস্ট্রিও। আর মাসিক কিস্তিসুবিধায় রয়েছেন অনেকেই।
তেমনই একজন প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন শিক্ষক তুষার নবী খান। তিনি বলেন, মাত্র ৪ দিনেই রেজিস্ট্রেশন আর সাতদিনেই বুঝে পেয়েছি প্লট। আমি আরো কয়েক প্রকল্পে বিনিয়োগ করে এতো কম সময়ে প্লট বুঝে পায়নি। স্বপ্নভূমি যা করেছে তা সমসাময়িক সময়ে অপ্রতুলই বলা চলে।
স্বপ্নভূমির আরেক বিনিয়োগকারী ড. চৌধুরী মো. ফুয়াদ গালিব বলেন, আমি ভাগ্যবান। কারণ স্বপ্নভূমিই আমার স্বপ্নের ঠিকানা। আমি প্রকল্পটি ঘুরে ঘুরে দেখেছি। সুপরিকল্পিত ও পরিপাটি এই প্রকল্পটি সত্যিই আমার স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিয়েছে।
স্বপ্নভূমি আবাসন প্রকল্পে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রেডি প্লট ইতোমধ্যেই হস্তান্তর হয়েছে। মাটি ভরাট, রাস্তা তৈরি এবং পরিকল্পিত বৃক্ষরোপণের কাজে ব্যস্ত শ্রমিকরা। চলছে বাকি প্লট তৈরির কাজ। তাদের কর্মযজ্ঞ দেখে মনে হতেই পারে ঢাকার পাশেই নান্দনিক আবাসন প্রকল্প হতে যাচ্ছে স্বপ্নভূমি আবাসন প্রকল্প।
প্রকল্পে প্রস্তাবিত নাগরিক সুবিধার মধ্যে রয়েছে বাণিজ্যিক স্পেস, শপিং মল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মাদ্রাসা, মন্দির, খেলার মাঠ ও পার্কসহ নানা সুবিধা। প্রকল্পে গ্রাহকরা ইচ্ছে করলেই কিনতে পারবে ৩, ৫, ৬ কিংবা ১০ কাঠার প্লট। দামও হাতের একদমই নাগালে। ভূমি প্রোপার্টিজ কর্তৃপক্ষ বলছে, যেভাবে কাজ এগোচ্ছে তাতে ২০২৫ সালের মধ্যেই সম্পূর্ণ প্রকল্প হস্তান্তর করা সম্ভব।
তরুণ উদ্যোক্তা ভূমি প্রোপার্টিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম মিলন হাসান বলেন, মুখের কথায় নয়, প্রকল্প থেকে যারা প্লট কিনেছে তারাই আমার মূল অ্যাম্বাসেডর। আর গ্রাহকদের এ আস্থা অর্জনে ভূমি প্রোপার্টিজের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী কাজ করে যাচ্ছেন। আর এটি সম্ভব হয়েছে সফল কোম্পানিগুলোর সাফল্যের দৃষ্টান্ত অনুকরণ করায়।
তিনি গ্রাহকদের উদ্দেশ্যে বলেন, গ্রাহকদের আমি একটিই অনুরোধ করব। আপনারা দেখে-শুনে-বুঝে বিনোয়োগ করবেন। আর আমাদের স্বপ্নভূমিতে এসে বুঝে-শুনেই গড়তে পানের আপনার নিশ্চিন্ত আবাস।

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button