দেশে বিএনপির চেয়ে বড় উগ্রবাদী আর কে- এমন প্রশ্ন তুলে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, জেল থেকে বের হয়েই একই বক্তব্যের পুনরাবৃত্তি দিয়েছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
কাদের বলেন, নিজের ওপর আরোপিত অভিযোগ আওয়ামী লীগের উপর আরোপ করতে চায় বিএনপি। নেতাকর্মীদের চাঙ্গা করতে ও আত্মতুষ্টির জন্য কথা বলছেন বিএনপি নেতারা। বেপরোয়া চালকের মত বারবার তারা রাজনীতিতে দুর্ঘটনা ঘটাচ্ছে। কাদের আরও বলেন, বিএনপি তাদের ক্ষমতার সময় ২১ হাজার আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের হত্যা করেছে। গুম-খুনের নাটক বারবার সাজিয়েছে বিএনপি।
বিএনপির আন্দোলন করার মত কোনো ইস্যু দেশে নেই বলেই তারা গায়ে পড়ে ইস্যু তৈরি করতে চায়। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে যাদের হাতে রক্তের দাগ, যারা এ দেশে হত্যা-ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু করেছিল, মানব সভ্যতার ইতিহাসে সবচেয়ে কলঙ্কিত হত্যাকাণ্ড ৭৫-এর ১৫ই আগস্ট। যার মাস্টারমাইন্ড ছিল খন্দকার মোশতাকের সঙ্গে জেনারেল জিয়াউর রহমান। অবাক লাগে নিজেরাই যেসব অভিযোগে অভিযুক্ত, তাদের ওপর আরোপিত অভিযোগ নতুন করে আরোপ করতে চায় আওয়ামী লীগের ওপর।
এ সময় আওয়ামী লীগ জনগণের জানমালের সুরক্ষায় রাজপথে থাকবে বলে দেশবাসীকে আশ্বস্ত করেন কাদের।
মায়ানমার সীমান্তে গোলাগুলি নিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘ওখানে এখন যেটা দরকার তা হলো ইনটেলিজেন্ট ডিপ্লোমেসি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাজ করছে। সবপক্ষের গতিবিধি লক্ষ্য করে যুদ্ধকে পরিহার করে শান্তির জন্য ইন্টেলিজেন্স ডিপ্লোমাসি পাঠিয়েছে বাংলাদেশ।’
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়াসহ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।