নারী তার নিজের সুস্থতার দিকে খুব কমই নজর দিয়ে থাকেন। সবাইকে ভালো রাখার দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়ে নিজের দিকটাই ভুলে থাকেন। সবাই হয়তো নয়, তবে বেশিরভাগই এমন। কিন্তু নিজের দিকে খেয়াল না রাখলে একটা সময় অন্যের দিকে খেয়াল রাখাই মুশকিল হয়ে যাবে।
বিশেষ করে বয়স ত্রিশ বছর পার হলেই নজর দিতে হবে খাদ্যাভ্যাসের দিকে। ভারতীয় পুষ্টিবিদ লাভনীত বাত্রা তার ইনস্টাগ্রাম পোস্টে এ বিষয়ে উল্লেখ করেছেন। চলুন, জেনে নেওয়া যাক-
১. ভিটামিন ডি: নারীর হরমোনের ভারসাম্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান হলো ভিটামিন ডি। সেইসঙ্গে এটি মন ভালো রাখতে সাহায্যও করে। পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি শরীরে পৌঁছলে তা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। এ কারণে নারীকে ত্রিশের পরে বেশি করে ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার খেতে হবে। সেইসঙ্গে রোদ থেকেও এই ভিটামিন গ্রহণ করতে হবে।
২. আয়রন: অনেক নারীই এই বয়সে বেশ ক্লান্ত বোধ করেন। এর অনেক কারণও আছে। তবে এমনটা হলে সবার আগে খাবারের দিকে খেয়াল করবেন। আপনি যদি ভীষণ ক্লান্তি বোধ করেন, তবে খাবারের তালিকায় ডায়েটে আয়রন সমৃদ্ধ খাবার যোগ করতে হবে। বয়স ত্রিশ পার হলে নারীদের প্রচুর আয়রনযুক্ত খাবার খেতে হবে।
৩. ওমেগা ৩: সুস্থতার জন্য ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড যুক্ত খাবার খাওয়া জরুরি। বিশেষ করে এটি হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য, মস্তিষ্কের কার্যকারিতার জন্য এবং প্রদাহের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই একজন নারী যখন বয়স ত্রিশ বছর পার করবেন তখন অবশ্যই ওমেগা ৩ জাতীয় খাবার রাখতে হবে খাবারের তালিকায়।
৪. ক্যালসিয়াম: হাড় ভালো রাখার জন্য ক্যালসিয়ামের প্রয়োজনীয়তার কথা কম-বেশি শুনে থাকবেন। তবে কেবল শক্তিশালী হাড়ের জন্যই নয়, ক্যালসিয়াম প্রয়োজন হয় আমাদের শরীরের সামগ্রিক শক্তির জন্য, পেশীর শিথিলতার জন্য এবং স্নায়ুর কার্যকারিতার জন্যও। তাই নারীকে ত্রিশের পরে প্রচুর ক্যালসিয়াম জাতীয় খাবার খেতে হবে নিয়মিত।
৫. ফোলেট: নারীর সুস্থতার জন্য ফোলেট যুক্ত খাবার খাওয়া অত্যন্ত জরুরি। এটি তাকে সুস্থতার পথে একধাপ এগিয়ে নেয়। বিশেষ করে যারা নতুন মা হয়েছেন তাদের জন্য ফোলেট এমন একটি ভিটামিন যা অবশ্যই খাবারের তালিকায় করতে হবে। তাই ত্রিশ পার হলে নারীকে এদিকে আরও বেশি নজর দিতে হবে।