ডিমের পুষ্টিগুণ অনেক। বিশ্বজুড়ে ব্রেকফাস্টে সবচেয়ে বেশি ডিম খাওয়া হয়। কেউ সেদ্ধ ডিম খান, আবার কারও পছন্দ পোচ। আবার কেউ ভালবাসেন ওমলেট বানিয়ে খেতে। তবে ডিম খাওয়া নিয়ে নানা ধরনের ভুল ধারণাও প্রচলিত আছে। কিন্তু পুষ্টির দিকে কে এগিয়ে, সেদ্ধ ডিম নাকি ওমলেট? খাওয়ার আগে জেনে নিন।
ডিমের পুষ্টি
একটি ডিমের ওজন প্রায় ৫০ গ্রামের মতো হয়ে থাকে। একটি ডিম থেকে প্রায় ৬ গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায়। আমাদের শরীর এই প্রোটিন খুব সহজেই গ্রহণ করে। যে কারণে ছোটবেলা থেকেই ডিম খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। ডিমে আরও থাকে ওমেগা ৩, ভিটামিন ডি, ভিটামিন বি, জিঙ্ক, সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ফোলেট ইত্যাদি।প্রতিদিন ডিম খেলেও তাই কোনো ধরনের সমস্যা হয় না। বরং এতে শরীর সুস্থ রাখা সহজ হয়। অনেকে মনে করেন, আধা সেদ্ধ ডিম খেলে বেশি উপকার পাওয়া যায়। এই ধারণা সঠিক নয়। বরং পুরোপুরি সেদ্ধ ডিম খাওয়াই স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। কারণ আধা সেদ্ধ ডিমে থাকতে পারে সালমোনেল্লা নামক এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া। এর ফলে বমি, ডায়রিয়ার মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে। তাই আধা সেদ্ধ ডিম খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
কাঁচা ডিম খাবেন না
কেউ কেউ বেশি পুষ্টির আশায় কাঁচা ডিম খান। এতে বেশি শক্তি পাওয়া যায় বলে তাদের ধারণা। এটিও একদমই ঠিক নয়। বরং পুরোপুরি ভুল। কারণ এভিডিন নামক এক ধরনের প্রোটিন থাকে কাঁচা ডিমে। আমাদের শরীরে বায়োটিনকে কাজ করতে বাঁধা দেয় এই প্রোটিন। যে কারণে ত্বক ও চুলের ক্ষতি হতে পারে কাঁচা ডিম খেলে। তাই কাঁচা ডিম খাওয়ার অভ্যাস থাকলে তা বাদ দিন।
ভাজা কিংবা পোচ
ডিম সেদ্ধ করে খাওয়াই সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর। তবে ভাজা কিংবা পোচও খেতে পারেন। এক্ষেত্রে তেলের ব্যবহার যেন সীমিত থাকে সেদিকে খেয়াল রাখবেন। সবচেয়ে ভালো হয় যদি ওয়াটার পোচ করে খেতে পারেন। এতে তেল থাকে না আর খেতেও ভালোলাগে। তাই এভাবে ডিম খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন।
ডিমের কুসুম
ডিমের কুসুমে থাকা ফ্যাটের কারণে অনেকে সেটি বাদ দিয়ে খান। তবে দিনে কুসুমসহ একটি ডিম খেলে কোনো সমস্যা হয় না। এতে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় ফ্যাটের চাহিদা অনেকটাই পূর্ণ হয়। তবে যাদের শরীরে কোলেস্টেরল বেশি তারা ডিমের কুসুম এড়িয়ে চলবেন।