রোজায় অনেক সময় বিকেলের দিকে অথবা ইফতার ও সেহরির পর পেটে গ্যাস হয়। এতে হজমে সমস্যা, পেট ফাঁপা, পেট জ্বালাপোড়া করা, ঢেকুর ওঠা, পেট ব্যথা- ইত্যাদি হয়ে থাকে। পেটে মারাত্মক অস্বস্তির সৃষ্টিও হতে পারে। এ অবস্থা যে শুধু যাদের এসিডিটি আছে তাদের হচ্ছে এমন নয়। যারা নিয়মিত রোজা রাখছেন, তাদেরও এ সমস্যা হতে পারে।
সারাদিন রোজা রাখার পর অতিরিক্ত ভাজাপোড়া খাওয়া শরীরের জন্য মারাত্নক ক্ষতির কারণ হতে পারে। বিশেষ করে যাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে খাবার হিসেব করে খেতে হবে। রোজা থাকাকালীন এসিডিটি থেকে মুক্তি পেতে কিছু নিয়ম মেনে চলার চেষ্টা করলে এই অস্বস্তি থেকে মুক্ত থাকা সম্ভব।
১. মনোযোগের সঙ্গে ধীরে ধীরে খাওয়ার অভ্যাস করুন। খাবারের প্রতিটি ছোট ছোট কণা বুঝে খেলে হজম প্রক্রিয়ার জন্য যেমন ভালো, তেমনি কম খাওয়ার অভ্যাসও গড়ে তোলা যায়। কেউ যদি মাত্র ২০মিনিট যদি এভাবে আস্তে আস্তে মনোযোগের সঙ্গে খাওয়া অভ্যাস করেন, তবে তার মস্তিষ্কে অটো কমান্ড যাবে যে- পেট ভরে গেছে।
২. ইফতারের মেন্যুতে তরল জাতীয় খাবার, সহজে হজম হয় এমন খাবার, ফাইবার জাতীয় খাবার খেতে হবে। পাতলা খিচুড়ি, স্যুপ, সাবুদানার আইটেম, সেদ্ধ ভেজিটেবল, চাইনিজ ভেজিটেবল, মোমো খেতে পারেন।
৩. গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় ইফতারে খেতে পারেন আনারসের শরবত। আনারস খেলে অ্যাসিডিটি কমে যায়।
৪. মেন্যুতে প্রোটিন জাতীয় খাবারও রাখতে হবে। তবে চর্বি ও ট্র্যান্সফ্যাট জাতীয় খাবার বাদ দিতে হবে। ভাজাপোড়া, তৈলাক্ত ও মিষ্টিজাতীয় খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
৫. ইফতার করার পর অ্যাসিডিটি হলে দুই তিনটি পুদিনা পাতা চিবিয়ে খেয়ে নিন। চাইলে এক কাপ পানিতে কয়েকটি পুদিনা পাতা দিয়ে সেদ্ধ করে সেই পানি পান করতে পারেন।
৬. ইফতার করার পর এক কাপ আদা চা খেতে পারেন। আদা চা হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। অ্যাসিডিটির সমস্যা হলে এক কাপ আদা চা পান করুন, কমে যাবে অ্যাসিডিটি। দারুচিনিতে রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি উপাদান, যা অ্যাসিডিটি দূর করতে সাহায্য করে। তাই কফিতে সামান্য দারুচিনি গুঁড়া ছিটিয়ে পান করুন। গ্যাস্ট্রিকের অস্বস্তি দূর হবে।
৭. অ্যাসিডিটি কমাতে মৌরি চিবিয়ে খেতে পারেন। এটি পাকস্থলী ও অন্ত্রের পেশিতে প্রভাব ফেলে যা কোষ্ঠকাঠিন্য ও গ্যাসের সমস্যা কমাতে সহায়তা করে। সেহরিতে ভাত খাওয়ার পর হালকা গরম পানিতে একটি লেবু চিপে পান করুন। দূর হবে অ্যাসিডিটি।