২১০০ সালের মধ্যে ২২৪টি দেশের ১৯৮টিতে জনসংখ্যা কমে আসবে। একই সময়ে দরিদ্র্য দেশগুলোতে জন্মহার বাড়বে। সম্প্রতি এক গবেষণায় এমনই সতর্ক বার্তা দেওয়া হয়েছে।
জরিপভিত্তিক এ গবেষণা চালিয়েছে ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির হেলথ মেট্রিক্স অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশন ইনস্টিটিউট। কয়েক দশকব্যাপী ১৫০টিরও বেশি দেশের ৮ হাজার বিজ্ঞানীর গবেষণার মিলিত ফল এটি। যেখানে গবেষণার উপাদান হিসেবে ছিল সমীক্ষা, বিভিন্ন দেশের আদমশুমারির তথ্য, ১৯৫০ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন রোগ, আঘাত ও অন্যান্য ঝুঁকি সংক্রান্ত তথ্য।
গবেষকেরা বলেছেন, এই পরিবর্তন দেশগুলোকে ‘বেবি বুম’ এবং ‘বেবি বাস্ট’ এ ভাগ করে দেবে। যেখানে ধনী দেশগুলো অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বজায় রাখতে লড়াই করবে। অন্যদিকে দরিদ্র দেশগুলো কিভাবে নিজেদের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যাকে সহায়তা করা যায় সেই চ্যালেঞ্জের সঙ্গে লড়াই করবে। বিশেষজ্ঞদের মতে জনসংখ্যা এবং যুব প্রজন্মের জনসংখ্যার মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে জন্মের হার ২.১ শতাংশ হওয়া উচিত। অর্থাৎ একজন নারীর অন্তত দুটি সন্তান থাকা উচিত। তবে গবেষণায় দেখা গেছে, ২১০০ সালে এই হার হবে ১.৫৯। যদিও ১৯৫০ সালে এই হার ছিল ৪.৮৪। যা ২০২১ সালে কমে হয়েছে ২.২৩।
কেবল সোমালিয়া, টোঙ্গা, নাইজার, চাঁদ, সামোয়া ও তাজিকিস্তান তাদের জনসংখ্যার ধারা বজায় রাখতে সক্ষম হবে। যদিও এ কারণে তাদের নানা চ্যালেঞ্জও মোকাবিলা করতে হবে।
গবেষণাপত্রের সহ-লেখক নাতালিয়া ভট্টাচার্য বলেছেন, ‘জনসংখ্যা হ্রাস পাওয়ার প্রভাব অনেক বিস্তৃত। বিশ্ব রাজনীতি ও ক্ষমতার আন্তর্জাতিক ভারসাম্যকেও এটি পুনর্গঠন করবে।’
গবেষণাপত্রে আরও বলা হয়েছে, সে সময় জনসংখ্যাগত পরিবর্তন বিশ্বকে ‘বেবি বুম’ ও ‘বেবি বাস্ট’ বিভাজনের দিকে নিয়ে যাবে। ধনী দেশগুলো অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বজায় রাখতে লড়াই করবে এবং দরিদ্র দেশগুলোর প্রধান চ্যালেঞ্জ হবে ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার নাগরিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা।