নাইজেরিয়ার মধ্যাঞ্চলে রবিবার গভীর রাতে বন্দুকধারীদের অতর্কিত হামলায় দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর অন্তত ২৬ সদস্য নিহত এবং আটজন আহত হয়েছে। দু’টি সামরিক সূত্র এএফপি’কে এ কথা জানিয়েছে।
এ ছাড়াও বিমান বাহিনীর একজন মুখপাত্র বলেছেন, আহতদের উদ্ধারকারী একটি হেলিকপ্টার সোমবার সকালে ওই এলাকায় বিধ্বস্ত হয়েছে। যেখানে সেনাবাহিনী অপরাধী গোষ্ঠীর সাথে লড়াই করছে। ক্রু এবং যাত্রীরা বেঁচে গেছে কিনা তা উল্লেখ করেননি।
দুই সামরিক কর্মকর্তার পরিচয় প্রকাশ না করতে বলা হয়েছে কারণ এই ঘটনার ব্যাপারে কথা বলার জন্য তারা অনুমোদিত সামরিক মুখপাত্র নন।
জুঙ্গেরু-তেগিনা হাইওয়েতে ‘গুরুতর লড়াই’ এর পরে প্রথম সূত্রটি বলেছিল, ‘আমরা ২৩ জন সৈন্যকে হারিয়েছি, যার মধ্যে তিনজন অফিসার এবং তিনজন বেসামরিক জেটিএফ (ভিজিল্যান্টস) এনকাউন্টার ছিল এবং আটজন সৈন্য আহত হয়েছে।’
দ্বিতীয় একজন অফিসার একই হিসেব দিয়ে বলেছেন, সংঘবদ্ধ এই সন্ত্রাসীদের ‘ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি’ হয়েছে। তিনি আরও বলেন যে, বিমান বাহিনীর একটি হেলিকপ্টারের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে যা হতাহতদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য পাঠানো হয়েছিল। হেলিকপ্টারটিতে ১১ জন নিহত এবং সাতজন আহত সৈন্য ছিলেন।
তিনি আরও বলেন, সন্ত্রাসী ‘দস্যুদের’ গোলাগুলির কারণে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে।
নাইজেরিয়ার বিমান বাহিনীর একজন মুখপাত্র নিশ্চিত করেছেন যে তাদের এমআই-১৭১ হেলিকপ্টারটি সোমবার জুঙ্গেরু থেকে উড্ডয়নের পর একটি ‘ক্যাজুয়ালিটি ইভাকুয়েশন মিশনে’ বিধ্বস্ত হয়।
মুখপাত্র এডওয়ার্ড গ্যাবকওয়েট এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘হেলিকপ্টারটি কাদুনার উদ্দেশ্যে জুঙ্গেরু প্রাইমারি স্কুল থেকে রওনা হয়েছিল কিন্তু পরে নাইজার রাজ্যের শিরোরো স্থানীয় সরকার এলাকার চুকুবা গ্রামের কাছে বিধ্বস্ত হয়েছে বলে জানা গেছে।’
তিনি বলেন, হেলিকপ্টারটিতে থাকা ব্যক্তিদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে এবং দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে প্রাথমিক তদন্ত করা হয়েছে।